• টিকিট কেটেও সংরক্ষিত আসনে উঠতে পারলেন না যাত্রীরা, মতুয়া মেলা ফেরত ট্রেনে চূড়ান্ত অব্যবস্থা
    প্রতিদিন | ২৩ মার্চ ২০২৩
  • সুব্রত বিশ্বাস: ঠাকুরনগরে বারুণি মেলা থেকে ফেরার পথে মতুয়াদের সঙ্গে ট্রেন যাত্রীদের ঝামেলা বাঁধে কলকাতা স্টেশনে। রিজার্ভেশন থাকা সত্বেও ট্রেন থেকে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুললেন যাত্রীরা। যাত্রীদের অভিযোগ, কলকাতা স্টেশন থেকে টিকিট সংরক্ষিত থাকলেও তাঁদের ট্রেনে চড়তে দেওয়া হয়নি। সিটের দখল নিয়েছিল মতুয়া মেলা ফেরত ভক্তরা। সোমবার থেকে দু?দিন একই অভিযোগ বারবার উঠল। যদিও এপ্রসঙ্গে মতুয়া মহাসংঘের সঙ্ঘমাতা মমতাবালা ঠাকুর জানান, ?কেন্দ্র কয়েকটা ট্রেনের ব্যবস্থা করেছিল। মতুয়ারা টিকিট কেটেই যাত্রা করেছেন। তবে ট্রেনে ঝামেলার সম্পর্কে কেউ কিছু জানায়নি।?

    মঙ্গলবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ কলকাতা স্টেশন সরগরম হয়ে ওঠে। যাত্রীরা ট্রেন অবরোধ করে রাখে। অভিযোগ, একশোর উপর যাত্রী সংরক্ষিত টিকিট কেটেও ট্রেনে চড়তে পারেননি। ওই সব যাত্রীরা বুধবার সকালে শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস যাত্রা করেন। এই ঘটনার জন‌্য রেল কর্তৃপক্ষতে একেবারে সরাসরি দায়ী করেছেন যাত্রীরা।

    হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন ছিল রবিবার। ওই দিন বারুণি উৎসবে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভক্তরা আসেন। এজন‌্য পাঁচটি দূরপাল্লার বিশেষ ট্রেন দেয় রেল। আলিপুরদুয়ার, কাঠগোদাম ও জগদলপুর থেকে ট্রেনগুলি ঠাকুরনগর আসে। ফিরে যাওয়ার সময় কলকাতা স্টেশন হয়ে ফিরে যায়। ধর্মীয় ট্রেন বললেও সেই ট্রেনে রেল সাধারণ যাত্রীদের টিকিটের বুকিং দেয় কলকাতা স্টেশন থেকে। ফলে সাধারণ যাত্রীরা রাতেই ট্রেনটি ধরতে কলকাতা স্টেশনে হাজির হন। কিন্তু ট্রেনটি ঠাকুরনগর থেকে কলকাতা আসে যাত্রীবোঝাই অবস্থায়। তিল ধারণের জয়গা না থাকায় সংরক্ষিত টিকিট কেটেও সেই ট্রেনে চড়ার জায়গা পাননি শতাধিক যাত্রী। ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঝামেলা চলে দু?তরফে।

    টিকিট সংরক্ষণ করেও ট্রেনে চড়তে না পারায় যাত্রীদের ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যদিও আরপিএফ বা জিআরপি কেউই এই ট্রেন থেকে ধর্মীয় যাত্রীদের নামাতে পারেনি। এরপর নিরুপায় যাত্রীরা পরের দিন ভোরের কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ধরে ফিরতে বাধ‌্য হয়। ?ধর্মীয়? ট্রেন বলেও কেন বাইরের যাত্রীদের কাছে টিকিট বিক্রি করল রেল, সে প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরাই। রেল অবশ‌্য জানিয়েছে, বঞ্চিত যাত্রীদের পরের দিন কাঞ্চনজঙ্ঘায় পাঠানো হয়। এদিন চরম হয়রানির শিকার হন তাঁরা। সোমবার একই পরিস্থিতির শিকার হন কাঠগোদাম স্পেশ্যালে বুকিং করা যাত্রীরা। মহাসঙ্ঘের সাংগঠনিক সম্পাদক জহর বিশ্বাস বলেন, ?বিচ্ছিন্নভাবে কেউ কিছু করতে পারে। এর সঙ্গে ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কোনওরকম সম্পর্ক নেই।?
  • Link to this news (প্রতিদিন)