• স্পিকারের সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, ব্যাপারটা কী?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ মার্চ ২০২৩
  • প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করলেন। কিন্তু তাঁরা ঠিক কী জন্য স্পিকারের সঙ্গে দেখা করলেন তা জানা যায়নি। এটা কি নেহাতই সৌজন্য সাক্ষাৎকার? নাকি সংসদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা? এদিন মন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রহ্লাদ যোশী, কিরের রিজিজুও ছিলেন বৈঠকে। এদিকে বাজেটে ফিনান্স বিলের পরে অপর একটি দ্বিতীয় বিল এদিন পাস হয়েছে।

    এদিকে রাহুল গান্ধীকে সংসদ থেকে খারিজ করার দাবিতে এদিনও লড়াই জারি রাখে বিজেপি। স্পিকারের সঙ্গে মিটিংয়ের আগে এই ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ।

    এদিকে গত সপ্তাহ ধরে সংসদে আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যু ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির ইস্যুতে সংসদকে গরম করে তুলেছেন বিরোধীরা। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীকে তার কেমব্রিজের বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। তবে এসবের মধ্যে রাহুলের কারাদন্ডের নির্দেশকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবে শোরগোল পড়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি অবশ্য জামিন পেয়েছেন।

    এদিকে এদিন সকালে আলোচনার বিষয়বস্তু হাজির করতেই কংগ্রেস আদানি-হিন্ডেনবার্গ ইস্যুতে সুর চড়াতে শুরু করেন। এমনকী একাধিক সদস্য স্পিকারের পোডিয়ামের কাছেও চলে যান। এরপর সংসদের কাজ দুপুর ২ টো পর্যন্ত মুলতুবি করে রাখা হয়।

    এদিকে রাজ্য সভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় ও লোকসভার স্পিকার বার বারই সর্বদলীয় মিটিংয়ের মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছেন।

    এদিকে এদিন সামগ্রিক পরিস্থিতিতে লোকসভার স্পিকারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দেখা করার বিষয়টি নিয়ে নানা চর্চা চলছে। কেন তারা এইভাবে দেখা করতে গেলেন তা নিয়েও জল্পনা তুঙ্গে। তবে কি আগামীদিনে অন্য কোনও অগ্রগতি হবে সংসদে?

    এদিকে রাহুল গান্ধীকে কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তবে পরে অবশ্য় তিনি জামিন পেয়ে যান। তবে এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন আদালত বার ক্ষমা চাওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীকে বলেছিল। কিন্তু তিনি ক্ষমা চাননি।

    রায়ে আদালত জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোস্কি, অনিল আম্বানি নিয়ে তার বক্তব্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। মোদীর পদবি নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। আর তার জেরেই মানহানির মামলা করা হয়েছে।

    কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, রাহুল গান্ধী যেহেতু সত্য়ি কথাটা বলছেন সেকারণে বিজেপি চাইছে তাকে যেমন করে হোক লোকসভা থেকে সরিয়ে দিতে। তবে আদালত রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। এই নির্দেশকে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টে এই সময়কালের মধ্যে আবেদন করানো হবে।

     
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)