• আদালত বার বার ক্ষমা চাইতে বলেছিল রাহুলকে, কিন্তু… বিঁধলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ মার্চ ২০২৩
  • সংসদ বিষয়ক দফতরের মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে তোপ দাগলেন। সুরাট আদালতের রায়ের পরেও রাহুল গান্ধীর মধ্যে কোনো ক্ষমাসূচক ব্যাপার ছিল না বলে দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর। বৃহস্পতিবার তিনি জানিয়েছেন, সুরাট আদালত একটি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দুবছরের কারাদন্ড দিয়েছিল। কিন্তু তাকে বার বার বলা হয়েছিল তিনি যাতে ক্ষমা চান, কিন্তু তিনি সেটা করেননি।

    যোশী জানিয়েছেন, কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়ার পরেও রাহুল গান্ধী ক্ষমা চাননি। দেখে মনে হচ্ছিল তিনি স্বভাবগতভাবে অপরাধী।

    তিনি একটি প্রেস মিটে জানিয়েছেন, তদন্ত চলাকালীন আদালত বার বার জানিয়েছিল আপনি ক্ষমা চান। বার বার দেখা হয়েছিল তিনি ক্ষমা চান কি না। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। এমনকী আদালত যখন রায় দিল তখনও তিনি ক্ষমা চাননি। রাহুল গান্ধীর ভাবভঙ্গি যদি দেখেন, তিনি স্বভাবগতভাবে একজন অপরাধী।

    এদিকে মন্ত্রীর দাবি, গুজরাটের আদালত দেখেছিল একজন এমপির কথার একটা বড় প্রভাব থাকে। সেকশন ৪৯৯ ও ৫০০ ধারায় অভিযুক্ত করা হয় রাহুল গান্ধীকে। চিফ জুডিশিয়াল ম্য়াজিস্ট্রেট এইচএই ভার্মা জানিয়েছিলেন, অভিযুক্তকে কম শাস্তি দেওয়া হলেএটা জনতার মধ্য়ে ভুল বার্তা দেবে। সেক্ষেত্রে মানহানি মামলার মূল লক্ষ্যটা সাধিত হবে না।

    রায়ে আদালত জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া, মেহুল চোস্কি, অনিল আম্বানি নিয়ে তার বক্তব্যকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন। মোদীর পদবি নিয়ে তিনি মন্তব্য করেছিলেন। আর তার জেরেই মানহানির মামলা করা হয়েছে।

    কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের অভিযোগ, রাহুল গান্ধী যেহেতু সত্য়ি কথাটা বলছেন সেকারণে বিজেপি চাইছে তাকে যেমন করে হোক লোকসভা থেকে সরিয়ে দিতে। তবে আদালত রাহুলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। এই নির্দেশকে ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টে এই সময়কালের মধ্যে আবেদন করানো হবে।

    খাড়গে জানিয়েছিলেন, ইডি, সিবিআই আয়কর বিভাগ ও ভিজিল্যান্স কমিশনকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, উচ্চতর আদালতে গোটা বিষয়টি জানানো হবে।

    এদিকে যোশী জানিয়েছেন, কংগ্রেস দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও মান্যতা দিচ্ছেন না।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)