• PM Modi: 'আমাকে শূর্পনখা বলেছে ...' মোদীর বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি কংগ্রেস নেত্রীর
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৩
  • সংসদে দাঁড়িয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এবার মানহানি মামলার হুঁশিয়ারি দিলেন কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের একটি ভিডিয়ো টুইটও করেছেন তিনি।

    কংগ্রেস নেত্রী রেণুকার পোস্ট করা ভিডিয়োতে রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে। সেখানে তিনি রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে বলেন, "রেণুকাজী কিছু বলবেন না। রামায়ণ সিরিয়ালের পর এমন হাসি শুনতে পাওয়া সৌভাগ্যের।"

    রেণুকা চৌধুরীর অভিযোগ, এই কথা বলে তাঁকে শূর্পনখার সঙ্গে তুলনা করেছেন । উল্লেখ্য, রাজ্যসভায় ওই মন্তব্যের পর মোদীর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করেছিল কংগ্রেস।

    বছর পাঁচেক আগে সংসদে করা প্রধানমন্ত্রীর ওই মন্তব্যের পর তুঙ্গে উঠেছিল রাজনৈতিক তরজা। বৃহস্পতিবার মোদী পদবি নিয়ে কুমন্তব্যের জন্য মানহানি মামলায় রাহুল গান্ধীকে দু'বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় গুজরাটের সুরাট জেলা ও দায়রা আদালত। এর পরই পুরনো বিষয় খুঁচিয়ে তোলেন রেণুকা চৌধুরী।

    টুইটে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিয়ো পোস্ট করে কংগ্রেস নেত্রী লেখেন, "আদালত কত দ্রুত ব্যবস্থা নেয়, সেদিকে তাকিয়ে আছি।" যদিও এই ইস্যুতে পালটা জবাব দিয়েছে BJP।

    পদ্ম-শিবিরের দাবি, "২০১৮-র ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যসভায় তুমুল হইহট্টগোলের মধ্যে বক্তব্য রাখছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময় রেণুকা চৌধুরীকে নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তবে কোথাও তাঁকে শূর্পনখা বলা হয়নি।"

    উল্লেখ্য, ওই সময় রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ছিলেন । ওই দিন সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ জানানোয় উত্তাল হয়েছিল রাজ্যসভা। এর মধ্যে হঠাৎই রেণুকা চৌধুরীর হাসির শব্দ শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। এর পরই তাঁর সম্পর্কে ওই মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

    ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে কর্নাটকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবি নিয়ে কুমন্তব্য করেন রাহুল গান্ধী। এর পরই তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

    গতকাল সেই মামলাতেই দোষী সাব্যস্ত হন ওয়ানাডের কংগ্রেস সাংসদ। তবে তাঁকে জামিন দিয়েছে আদালত। উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য তাঁকে ৩০ দিন সময় দিয়েছে আদালত।

    BJP নেতাদের দাবি, মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এবার সাংসদ পদ হারাতে পারেন । সেই কারণেই প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।

    সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, রাজ্যসভায় প্রধানমন্ত্রীর করা মন্তব্য নিয়ে মানহানির মামলা আদালত গ্রহণ করবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ সংবিধান অনুযায়ী, সংসদে করা মন্তব্যের উপর আদালতে যাওয়া যায় না।
  • Link to this news (এই সময়)