• Anubrata Mondal Latest News : পাজামা কেনারও টাকা নেই বন্দি কেষ্টর
    এই সময় | ২৪ মার্চ ২০২৩
  • এই সময়, নয়াদিল্লি: গোরু পাচার মামলায় কোটি কোটি টাকা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছেন তিহার জেলে। তাঁর কাছেই টাকা নেই দু'টি নতুন ইলাস্টিক পাজামা এবং সুতির ফতুয়া কেনার! তিনি বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। গোরু পাচার মামলায় ইডি হেফাজত কাটিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তিহার জেলে যেতে হয়েছে তাঁকে।

    বৃহস্পতিবার তিহার প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গিয়েছে, ইডি হেফাজত থেকে তিহারে যাওয়ার সময়ে অনুব্রত মাত্র দু'টি ইলাস্টিক পাজামা সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন। সেগুলি এই দু'দিনে কিছুটা নোংরা হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই৷ নিরাপত্তাজনিত কারণে দড়ি বাঁধা পাজামা তিহারে ব্যবহার করা নিষেধ৷ এমতাবস্থায় কেষ্টর পকেটে টাকা নেই নতুন পাজামা কেনার৷

    জেল সূত্রে খবর, কেষ্টর এই সমস্যা দূর করতে তৎপর হচ্ছেন তাঁর আইনজীবীরা৷ তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি তিহার জেলের কোষাধ্যক্ষর কাছে টাকা জমা দেবেন কেষ্টর নামে। সেই টাকা দিয়ে জেল অফিস থেকে নিজের জন্য ইলাস্টিক পাজামা, ফতুয়া কিনতে পারবেন অনুব্রত, সঙ্গে জেলের ক্যান্টিন থেকে পছন্দের খাবারও৷

    তবে এখানেই বোধহয় তাঁর সমস্যা মিটছে না। কারণ, এ দিন দিল্লি হাইকোর্টে কেষ্টর জামিনের আর্জির শুনানি ছিল। পাশাপাশি দিল্লির রাউজ় অ্যাভিনিউ আদালতের জারি করা প্রোডাকশন ওয়ারেন্টকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। যাতে তাঁর জামিনের আবেদন নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপান আইনজীবীরা, তা নিয়ে তাঁদের অনুরোধও করেন কেষ্ট। তবে এ দিন বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মার অনুপস্থিতিতে শুনানি রদ হয়ে যায়। ২৯ মার্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা৷

    জেলে যাওয়ার পর থেকেই অনুব্রতর অনুযোগ রয়েছে তিহারের রান্না করা খাবার ও তার গুণমান নিয়ে৷ সাত নম্বর জেলের মধ্যে আলাদা সেলের দমবন্ধ করা পরিবেশ, সাত সকালে ঘুম থেকে তুলে দেওয়ার প্রবল বিরক্তির থেকেও অনুব্রতর কাছে বড় 'অসন্তোষের কারণ' তিহারের পেঁয়াজ-রসুন যুক্ত 'নিরামিষ' রান্না৷ কারণ, বীরভূমে থাকাকালীন কেষ্টর রোজকার খাবার রুটিনে ভাত-ডাল-পোস্তর পাশাপাশি আমিষ পদ ছিল বাধ্যতামূলক৷

    দিল্লিতে ইডি হেফাজতেও তাঁর জন্য মাছের ঝোল-ভাত বরাদ্দ ছিল৷ মঙ্গলবার বিকেলে তিহারে পা রাখার পর থেকে সেই রুটিনে ছেদ পড়েছে। কারণ তিহারে বন্দিদের জন্য কোনও আমিষ পদ বরাদ্দ করা হয় না৷ এর পাশাপাশি অনুব্রতর আর একটি পুরোনো অভ্যেস ছিল ঘনঘন চা বা কফি খাওয়া৷ দু'রাতের তিহার বাসের মাঝে সেই অভ্যেসও প্রায় উঠে গিয়েছে বললেই চলে৷
  • Link to this news (এই সময়)