• Firhad Hakim On Teacher Recruitment : 'চিরকুটে লোক ঢোকানো যায় না', ফিরহাদের গলায় ভিন্ন সুর
    এই সময় | ২৬ মার্চ ২০২৩
  • এই সময়: বাম আমলে যোগ্যদের বঞ্চিত করে সিপিএমের কারা চিরকুটে স্কুলে চাকরি পেয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তা খতিয়ে দেখা শুরু করেছেন ব্রাত্য বসু। দীনবন্ধু অ্যান্ড্রুজ কলেজে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরি নিয়ম মেনে হয়েছিল কি না, সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজা অব্যাহত। শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহও বাম আমলে তাঁর বাবা কমল গুহর সুপারিশে অনেক চাকরি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। অথচ এমন পরিস্থিতিতেই ভিন্ন সুর শোনা গেল রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের গলায়।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শনিবার এক প্রশ্নের উত্তরে ফিরহাদের সাফ জবাব, 'চিরকুটে কোনও দিন লোক ঢোকানো যায় না। অন্তত একটা অ্যাপ্লিকেশন লাগে।' তাঁর সংযোজন, 'আগে যখন সার্ভিস কমিশন ছিল না, নিয়োগের বিধি ছিল না, তখন স্কুলগুলোতে দেখেছি পরিচালন সমিতি বসে শিক্ষক নিয়োগ করত। সত্তরের দশকে এটা দেখেছি। সেই সময়ে পুরসভায় স্থানীয় লোকদের নেওয়া হতো। কিন্তু যে দিন থেকে নিয়োগের বিধি তৈরি হলো, তখন থেকে এই ভাবে নিয়োগের সুযোগ আর নেই।' উদয়নের দাবিকে 'পাগলের কথা' বলে উড়িয়ে দিয়ে নিজের বক্তব্যে অনড় থেকেছেন ফিরহাদ।

    এ দিকে বাম আমলে নিয়ম ভেঙে কারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছেন, প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক স্তরে সেই তথ্য সংগ্রহ করতে ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। রাজ্যের পুরমন্ত্রীর বক্তব্যও খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। বরং কুণাল উদয়নের বক্তব্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। তিনি এ দিন বলেন, 'ফিরহাদ হাকিম কী বলেছেন আমি তার মধ্যে ঢুকব না। মুখ্যমন্ত্রী যে কথা বলেছেন যে, বাম জমানায় চিরকুটে চাকরি হতো, এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা। এই চিরকুট হল পার্টির সুপারিশপত্র। তাই চিরকুটে চাকরি হয় না এই কথা ঠিক নয়।

    বরং উদয়ন গুহর কথায় বাম আমলের চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে।' যদিও বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'বরকত গনি খান চৌধুরী সিগারেটের ছেঁড়া প্যাকেটে সুপারিশ করেছেন, চাকরি হয়েছে, এটা তো প্রবাদে পরিণত হয়েছে। এক সময়ে তো এই ভাবেই চাকরি হতো। কিন্তু তৃণমূল জমানার মতো চাকরি বিক্রি অতীতে রাজ্যে কখনও হয়নি।'

    সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলির চাকরি কোনও পরীক্ষা ছাড়া হয়েছিল বলে তৃণমূল অভিযোগ করার পরেই ব্রাত্য বসু এই নিয়োগ নিয়ে তদন্তের সম্ভবনা উড়িয়ে দেননি। যদিও সুজন ও মিলি দু'জনেই ইতিমধ্যে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। তাঁদের বক্তব্য, কেবল অথেন্টিকেশন লেটার কেন, পারলে ইন্টারভিউয়ের কাগজপত্র বের করে দেখান। এই চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষিতে ব্রাত্য বলেন, 'আমি ওঁদের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করছি না।

    তবে ওঁরা এত আত্মবিশ্বাসী কেন, যে আমরা ইন্টারভিউয়ের কাগজ দেখাতে পারব না বলে? এই আত্মবিশ্বাসই প্রমাণ করছে যে ইন্টারভিউ হয়নি।' সুজন এদিন বলেছেন, 'মিলি চক্রবর্তীর পেনশন চালু হওয়ার আগে সব কাগজ অথেন্টিক করা হয়েছিল। মানে সব কাগজ ছিল। সব কাগজ না থাকলে কোয়্যারি হতো। পেনশন চালু হতো না। অথেন্টিকেশনের দিন পর্যন্ত সব কাগজ কলেজে ছিল। তা কেউ লোপাট করার চেষ্টা করলে দেখা হবে।'
  • Link to this news (এই সময়)