• রাহুলের পদ খারিজ: কংগ্রেসের সত্যাগ্রহে অনুমতি নেই পুলিশের, রাজঘাটে জারি ১৪৪ ধারা
    আনন্দবাজার | ২৬ মার্চ ২০২৩
  • রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রতিবাদে রবিবার দিনভর সত্যাগ্রহ পালনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কংগ্রেস। দেশ জুড়ে ‘সংকল্প পদযাত্রা’-র ডাক দেওয়া হয়েছে। জাতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী এবং সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে রবিবার সকালেই পৌঁছে গিয়েছেন মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে। পৌঁছেছেন কংগ্রেসের অন্য নেতা, কর্মীরাও।

    রবিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সত্যাগ্রহ পালন করবে কংগ্রেস নেতৃত্ব। দেশের নানা প্রান্তে অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। দিল্লির রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েতের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তা সত্ত্বেও প্রিয়ঙ্কা, খড়্গেরা সেখানে জড়ো হয়েছেন।

    রাজঘাটে কংগ্রেসের জমায়েত এবং অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, কংগ্রেসের আন্দোলনের ফলে রাজধানীতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হবে। ফলে যানজটের পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। সেই কারণেই সত্যাগ্রহের অনুমতি দেওয়া হয়নি। রাজঘাট এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে দিল্লি পুলিশ।

    ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-এর ৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। আইন অনুযায়ী, যে কোনও সাংসদ বা বিধায়ক কোনও নির্দিষ্ট মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে এবং তাঁর দুই বা ততোধিক বছরের সাজা হলে তৎক্ষণাৎ সাংসদ বা বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায়। ‘মোদী’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে বৃহস্পতিবার রাহুলকে ২ বছরের জেলের সাজা শোনায় গুজরাতের সুরত জেলা আদালত। তারই ভিত্তিতে পদ হারিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি।

    কংগ্রেস এর নেপথ্যে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে দাবি করেছে। লোকসভায় রাহুলের মুখ বন্ধ করতেই তাঁকে সাংসদ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনেও একই কথা জানান রাহুল নিজে। এর পরেই বিরোধিতার পারদ চড়েছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)