পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তি রেলে চাকরি করেন। তাঁর স্ত্রী ক্যানসার আক্রান্ত। সীমিত সাধ্যের মধ্যে স্ত্রীর জন্য চিকিৎসার সমস্ত ব্যবস্থাই করেছেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। এমন সময় একটি আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা কেন্দ্রের সন্ধান পান তিনি। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, নিশ্চিত ভাবে ক্যানসারের প্রতিকার করা হয়। বিপদের মুহূর্তে রেলকর্মী এবং তাঁর স্ত্রীর ভরসার জায়গা হয়ে ওঠে সেই চিকিৎসা কেন্দ্র। এ ভাবেই বিভিন্ন চিকিৎসার দাম বাবদ ১৫ লক্ষ ২২ হাজার টাকা খরচ করে ফেলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু স্ত্রীর অবস্থার কোনও পরিবর্তন তো দূর ক্রমশ তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকেন।
রেলকর্মীর অভিযোগ, চিকিৎসায় কাজ হচ্ছে না, তা বলতে গেলে চিকিৎসা কেন্দ্রের লোকজন তাঁকে এড়িয়ে যেতে শুরু করেন। কিছু দিন পর রেলকর্মী বুঝতে পারেন, তাঁর সঙ্গে জালিয়াতি করা হয়েছে। পুলিশের কাছে ছোটেন তিনি। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে ওই চিকিৎসা কেন্দ্রের দুই কর্মীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।