একটু ভালো করে বাঁচবো বলে
আর একটু বেশি রোজগার
ছাড়লাম ঘর আমি ছাড়লাম ভালোবাসা
আমার নীলচে পাহাড়
পারলো না কিছুতেই তোমার কলকাতা
আমাকে ভুলিয়ে দিতে
পাহাড়ী রাস্তার ধারের বস্তির
আমার কাঞ্চনকে
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চন জংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা
হনু বইয়্যো
ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন
সোনার খোঁজে কেউ কত দূর দেশে যায় আমি কলকাতায়
সোনার স্বপ্ন খুঁজে ফিরি একা একা তোমাদের ধর্মতলায়
রাত্তির নেমে এলে তিনশো বছরের সিমেন্টের জঙ্গলে
ফিরে চলে যাই সেই পাহাড়ী বস্তির কাঞ্চনের কোলে
জং ধরা রং চটা পার্কের বেঞ্চিটা আমার বিছানা
কখন যে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আমাকে তোমাদের থানা
তিন মাস জেল খেটে এখন আমি সেই থানার দারোয়ান
পারবো না ফিরে পেতে হয়তে কোনোদিন আমার সেই কাঞ্চন
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চন জংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা
হনু বইয়্যো
ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন
বেড়াতে যদি তুমি যাও কোনোদিন আমার ক্যালিম্পং
মনে রেখো শংকর হোটেলের ভাড়া ট্যুরিস্ট লজের থেকে কম
রাত্তির নেমে এলে আসবে তোমার ঘরে চুল্লিটা জ্বালিয়ে দিতে
আর কেউ নয় সে যে আমার ফেলে আসা নীলচে পাহাড়ের মেয়ে
বোলো না তাকে আমি দারোয়ান শুধু বোলো করছি ভালোই রোজগার
ঐ বস্তির ড্রাইভার চিগমির সাথে যেন বেঁধে না ফেলে সংসার
আর কিছু টাকা আমি জমাতে পারলে যাবো যাবো ফিরে
পাহাড়ী রাস্তার ধারের বস্তির আমার নিজের ঘরে
আর যদি দেখো তার কপালে সিঁদুর বোলো না কিছুই তাকে আর
শুধু এই সত্তর টাকা তুমি যদি পারো গুঁজে দিও হাতে তার
ট্রেনের টিকিটের ভাড়াটা সে দিয়েছিল কানের মাঁকড়ি বেচে
ভালোবাসার সেই দাম তুমি দিয়ে দিও আমার কাঞ্চনকে
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চনজঙ্ঘা কাঞ্চন মন
তুমি যাকে বল সোনা
আমি তাকে বলি কাঞ্চন
কাঞ্চন জানা কাঞ্চন ঘর
কাঞ্চন জংঘা কাঞ্চন মন
তো পাইলে সোনা
হনু বইয়্যো
ম উল্লা
ভাংচু কাঞ্চন