প্রথমত আমি তোমাকে চাই
দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই
তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই
শেষ পযর্ন্ত তোমাকে চাই
নিঝুম অন্ধকারে তোমাকে চাই
রাত ভোর হলে আমি তোমাকে চাই
সকালের কৈশোরে তোমাকে চাই
সন্ধের অবকাশে তোমাকে চাই
বৈশাখী ঝড়ে আমি তোমাকে চাই
আষাঢ়ের মেঘে আমি তোমাকে চাই
শ্রাবণে শ্রাবণে আমি তোমাকে চাই
অকাল বোধনে আমি তোমাকে চাই
কবেকার কলকাতা শহরের পথে
পুরনো নতুন মুখ ঘরে ইমারতে
অগুনতি মানুষের ক্লান্ত মিছিলে
অচেনা ছুটির ছোঁয়া তুমি এনে দিলে
নাগরিক ক্লান্তিতে তোমাকে চাই
এক ফোঁটা শান্তিতে তোমাকে চাই
বহুদূর হেঁটে এসে তোমাকে চাই
এ জীবন ভালোবেসে তোমাকে চাই।
চৌরাস্তার মোড়ে পার্কে দোকানে
শহরে গঞ্জে গ্রামে এখানে ওখানে
স্টেশন টারমিনাস ঘাটে বন্দরে
অচেনা ড্রইং রুমে, চেনা অন্দরে
বালিশ তোষক কাঁথা পুরোনো চাদরে
ঠান্ডা শীতের রাতে লেপের আদরে
কড়িকাঠি চৌকাঠে মাদুরে পাপোষে
হাসি রাগ অভিমান ঝগড়া আপোষে
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
এক কাপ চায়ে আমি তোমাকে চাই
ডাইনে ও বাঁয়ে আমি তোমাকে চাই
দেখা না দেখায় আমি তোমাকে চাই
না বলা কথায় আমি তোমাকে চাই
শীর্ষেন্দুর কোনো নতুন নভেলে
হঠাৎ পড়তে বসা আবোল তাবোলে
অবোধ্য কবিতায় ঠুংরি খেয়ালে
শ্লোগানে শ্লোগানে ঢাকা দেয়ালে দেয়ালে
সলীল চৌধুরীর ফেলে আসা গানে
চৌরাসিয়ার বাঁশী মুখরিত প্রাণে
ভুলে যাওয়া হিমাংশু দত্তর সুরে
সেই কবেকার অনুরোধের আসরে
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
তোমাকে চাই
অনুরোধে মিনতিতে তোমাকে চাই
বেদনার আর্তিতে তোমাকে চাই
দাবি দাওয়া চাহিদায় তোমাকে চাই
লজ্জা দ্বিধায় আমি তোমাকে চাই।
অধিকার বুঝে নেওয়া প্রখর দাবিতে
সারা রাত জেগে আঁকা লড়াকু ছবিতে
ছিপছিপে কবিতায় ছন্দে ভাষায়
গদ্যের যুক্তিতে বাঁচার আশায়
শ্রেণীহীন সমাজের চিরবাসনায়
দিনবদলের ক্ষিধে ভরা চেতনায়
দ্বিধা দ্বন্দের দিন ঘোচার স্বপ্নে
সাম্যবাদের ডাক ঘুমে জাগরণে
বিক্ষোভে বিপ্লবে তোমাকে চাই
ভীষন অসম্ভবে তোমাকে চাই
শান্তি অশান্তিতে তোমাকে চাই
এই বিভ্রান্তিতে তোমাকে চাই
প্রথমত আমি তোমাকে চাই
দ্বিতীয়ত আমি তোমাকে চাই
তৃতীয়ত আমি তোমাকে চাই
শেষ পযর্ন্ত তোমাকে চাই