প্রথমেই আমরা ব্রিজ পেরোলুম। তারপর ভয়। নিস্তার পাওয়ার জন্য
আমি শুরু করেছিলাম ছোটোবেলার গল্প। আর আমার চোখ থেকে
দূরবীন কেড়ে নিয়েছিলে তুমি।
বিপত্তারিণীর ব্রত করতাম তখন। আমার থানপরা রোগা দিদিমা ব্রতকথার
শেষে শান্তিজল ছিটিয়ে বলতেন : এর পুণ্যফলে কখনো বিধবা হবি না।
আমার লালসুতোর তাগা কতবার যে ছিঁড়ে পড়েছে আঘাটায় !
সিটি দিতো ছেলেরা। কাঁদতাম আর পানপাতায় মুখ ঢেকে চুল্লিতে
উঠতাম শুধু। কারা কনেচন্দন পরাতো আর কারা-ই বা মুছিয়ে দিতো
কে জানে !
আজ আবার মনে পড়লো সব কথা। আজ তুমি খনার গল্প বললে আর
শুনতে শুনতে খসখসে হয়ে উঠলো আমার জিভ, লাল হলো চাউনি।
শুনতে শুনতে আমি ডাইনি হয়ে উঠলাম।
আজ আবার মনে পড়লো সব কথা। হাঁটতে হাঁটতে ব্রিজ পেরোলুম।
তারপর একটু ঠেলতেই গেট খুলে গেলো। মুছে গেল ওষুধের ঝাঁঝ।
মুছে গেলো অ্যাপ্রন পরা নার্স আর শব্দ। হাসপাতাল এখন আমার
বুকের ভেতরে