ছেলেটির রূপ ছিল কুয়াশার মতন পলকা।
হাসির মধ্যে ছিল হেমন্তের পাতা ঝরানোর গান,
তাকে সবাই কেমন আপন করে ভালবাসতো,
সে জানতো মনে মনে, কোনো ভালোবাসার বেড়ায়
তাকে আটকাতে পারবেনা।
কবে যাবে নিশ্চিত করে জানতোনা,
তবে যাবে যে একথাটা ভারি নিশ্চিত করে জানতো।
আমি ভালবাসার খড়কুটো তার ঘরে পৌঁছে দিতাম,
সে মুখে কিছু বলতোনা, মনে মনে হাসতো,
তখন তাকে দেখাতো কেমন সুস্থ, সাবলীল।
মনে মনে তখনো সে হেসে বলতো,
এদের আমায় খুবই দরকার আছে,
আমাদের দুজনের, দুজনকে দরকার,
একদিন জানো, আমি থাকবোনা,
এরাই বেঁচে বর্তে থাকবে।
ছেলেটির রূপ ছিল কুয়াশার মতন পলকা।
কুয়াশা কাটার মতো করে একদিন সে চলে গেল অনায়াসে
কাউকে কিছু বলেও গেল না।