শুঁড়তোলা শামুকচলা দেখতে গিয়ে একটা পুরো
শৈশব কেটে গেছে
পদ্মপুকুরের ধার, ওধারে নদীর মতো চলন্ত পথের স্রোত ।
গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের তনুশ্রী পেয়েছে,
বুনো চারাগাছ শাল পিয়াশাল
মহুয়া নয়নতারার বন ।
অথচ এ সব কথারা অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে
পুরনো দালানটার কাঁধে হাত রেখে-রেখে ।
এখন নতুন-নতুন সব ইমারত
নতুন ভাবে ভেঙে যাবার সম্ভাবনায়
উল্লসিত ।
মানুষের শ্রম যে-আকৃতি নিয়ে
শহর হয়েছে
শেখানে অনেক বাগান আর ঐতিহাসিক সত্তায়
প্রতিষ্ঠিত অবকাশ-চৈত্যের যক্ষ-যক্ষী
প্রস্তর-স্নেহের নীড় ।
তা-ও ভেঙে যাবে দেখো
একদিন একটা নীলকন্ঠ পাখি
ভেঙে-ভেঙে যেমন পালক হয়ে
বনে ছড়িয়ে গিয়েছিল ।