বাংলা কবিতা

  • বাড়ি
    - মণীন্দ্র গুপ্ত
  • আমি পারি না। কিন্তু তোমরা প্রত্যেকটি পরিবার বাড়ি তৈরি করো-
    আনন্দময় বাড়ী।
    আমি প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা প্ল্যান করে দেব,
    নিজে দেখাশোনা করে বানিয়ে দেব।
    গোনাগুনতি খোলা সিঁড়ি ছাদে উঠে গেছে এমনভাবে যেন শিশুরা
    মনে করবে তারা আকাশে উঠছে। বাজপাখি দুপুর-মৌতাতে
    পাহাড়চূড়া ভেবে জলের ট্যাংকে এসে বসবে। আবার ঝড়ের মধ্যে
    মনে হবে। কংক্রিটের এক বেঁটে পালোয়ান চার হাত-পায়ে
    উবু হয়ে মাটি আঁকড়ে ধরেছে, প্রতিদ্বন্ধী কিছুতেই তাকে চিত
    করতে পারছে না।
    ফার্নিচারও আমি ডিজাইন করে দেব, আপহোলস্টারি পছন্দ করে
    দেব।
    ধূসর-সবুজ জলের মধ্যে তন্বঙ্গী সরলপুঁটি যেমন ঝিকমিক করে
    তেমনি, ছায়াছন্ন ঘরে তোমাদের কিশোরী মেয়েটিকে মাঝে মাঝে
    দেখা যায়- কাজ করছে, বই পড়ছে। দিনশেষে বাড়ি ফিরে
    নিজের কৌচটিতে বসে বলিষ্ঠ রুইমাছের মতো তুমি শান্তি
    পেতে পেতে দেখবে, মৃদু আলোয় তোমার চারপাশে
    জলজ কুসুমেরা দুলছে।
    আমার নিজের বাড়ি কেমন হবে সে কথা ভাববার সময়
    আজ পেরিয়ে গেছে।