এ আষাঢ়ে শেষ হোক কান্নার বন্যা
ও আষাঢ়ে লেখা যাবে মেঘদূত,
ক বছর মন দিয়ে করো ঘরকন্না
বুড়োকালে প্রেম হবে অদ্ভুত।
মুখোমুখি বসে শুধু সকালে ও সন্ধ্যায়
দম্পতি-সুখ বলো হয় কার?
সংসার-ধর্মেতে যে মেয়েরা মন দেয়
পৃথিবীতে তাদেরই তো জয়কার।
মেয়েমানুষের বেশি মন থাকা উচিত না,
আমাদের মন তাই পারিনেকো সামলে।
রুদ্র-গ্রীষ্মে আকাশে থাকেই তো তৃষ্ণা
সব মিটে যাবে চোখের বর্ষা নামলে।
দুটো পয়সার সাশ্রয় কিসে হবে
সেদিকে বরং পারো যদি চোখ রাখতে,
বুড়ো হয়ে যদি বেঁচে ও বর্তে রবে
পাকা-বাড়ি করে সেখানে পারবে থাকতে।
শখ-টখ যত সবই জেনো ছেলেমানুষি
কুড়ির পরে কি ও-সব রাখতে আছে?
জীবন তো নয় সুখের জোয়ারে পানসি,
আসল প্রশ্ন প্রাণটা কী ভাবে বাঁচে।
হঠাৎ সেদিন গভীর রাত্রে ঘুম ভেঙে চেয়ে দেখি
আগ্নেয়গিরি মেঘের চূড়ায় গলিত চাঁদের ধারা।
পাশ ফিরে শুই; চাঁদের ভেল্কি সবই জানা গেছে মেকি,
মিথ্যে শরৎ , নেহাৎই মিথ্যে আকাশ ছড়ানো তারা।
তুমি পাশে থাকো রুপোর কাঠিতে মূর্ছিতা চিরদিন
গৃহিনী-সচিব-শিষ্যা এবং কি জানি কী যে,
জানি না, জানতে চাইনে, জানলে রোজগার হবে ক্ষীন,
চাঁদ তো উপোসে মরে না, কিন্তু বেঁচে থাকা চাই নিজে ।