অর্জুন গাছ একা ছিল ঐ মাঠে
আর্যপুরুষ - আভিজাত্যের দম্ভ
নতজানু হল সব গাছ তার কাছে
এইটুকু শুধু আরম্ভ কাহিনীর ।
কোথা থেকে এল কৃষ্ণচূড়ার বীজ
যুবতী হল সে কয়েকবছর পরে
সাঁওতালি মেয়ে, খোঁপায় তীব্র লাল
অর্জুন তাকে চাইল আপন ক'রে ।
নতজানু হবে এমন মেয়ে সে নয়,
বসন্তে সে তো একাই নিজেই সাজে,
আর্যপুরুষে আসক্তি নেই তার
ব্যস্ত আছে সে ফুল ফোটানোর কাজে ।
খোঁপা থেকে খসে গতরাত্রের ফুল
ঝিরঝিরে পাতা পোশাক বুনেছে তার
অর্জুন, সে যে আর্যপুরুষ! ভাবে-
সব সুন্দরে একা তার অধিকার ।
অর্জুনগাছ চেয়ে দ্যাখে দূর থেকে
কৃষ্ণচূড়ার হৃদয় ঝরছে রোজ,
রূপ দেখে তার ধাঁধায় দু'খানি চোখ
ভাবে, কবে পাবে ঐ হৃদয়ের খোঁজ।
কাহিনী এবার শেষ করি তাড়াতাড়ি
কৃষ্ণচূড়ার জেদখানি বড় বেশি -
অভিমান সেও বিকাবে না কারও কাছে
বরঞ্চ হবে বন্ধু, বা, প্রতিবেশী।
যদিও কাহিনী এমন সহজ নয়
অর্জুন শুধু বাকল ঝরেছে, ঝরে
সাঁওতালি মেয়ে রক্ত ঝরাতে জানে -
আর্যপুরুষ হার মানে অন্তরে।
পরের জন্মে অর্জুনগাছ হয়ে
কৃষ্ণচূড়াকে বন্ধুর মতো দেখো -
আমাকে চিনতে ভুল কোরো না হে ঋজু,
রক্ত ঝরালে বাকল খসিয়ে ডেকো।