নিরুফা খাতুন: ভ্যাপসা গরমে দমবন্ধ দক্ষিণবঙ্গবাসীর। প্রশ্ন একটাই, কবে দেখা মিলবে বর্ষার? উত্তর পেরিয়ে কবে দক্ষিণের কড়া নাড়বে বর্ষা? আসি -আসি করেও দক্ষিণের জেলাগুলিতে আসছে না মৌসুমী বায়ু। এ সপ্তাহে কি দেখা মিলবে?
আবহাওয়াবিদদের অনুমান, এ সপ্তাহেই বর্ষা ঢুকতে পারে। চলতি সপ্তাহে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে মেঘলা আকাশ। দক্ষিণের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা। পশ্চিমের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হবে। সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ৩১ মে থেকে ইসলামপুরে আটকে আছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। মৌসুমী বায়ু এবার গতি পাবে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর বলছে, এ সপ্তাহেই মৌসুমী বায়ু ইসলামপুর থেকে নিচের দিকে নামতে পারে। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে উত্তরবঙ্গের বাকি এলাকা ও দক্ষিণবঙ্গে ঢুকে পড়বে বর্ষা।
দক্ষিণবঙ্গে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হলেও এখন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। সপ্তাহান্তে বা আগামী সপ্তাহে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আপাতত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই গরম ও অস্বস্তি থাকবে। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমানের গরম ও অস্বস্তি একটু বেশি অনুভূত হবে।
কলকাতায় বৃষ্টি না হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ভোগাবে। মেঘলা আকাশ এবং বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বিকেল বা সন্ধের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি ও ঝড়ের পরিমাণ একটু বাড়বে। তবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই।
দুর্যোগের দুর্ভোগ বাড়বে উত্তরবঙ্গে। অসম, মেঘালয়, সিকিম ও উত্তরবঙ্গে অতি প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবল বৃষ্টি জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলাতে। ভারী বৃষ্টি চলবে আরও চার-পাঁচ দিন। উপরের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। অতিবৃষ্টির সর্তকতা জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহার এই তিন জেলাতে।