• মেরে হেডস্যারের আঙুল ভাঙার অভিযোগ সহ শিক্ষকের বিরুদ্ধে, রানিগঞ্জের স্কুলে শোরগোল
    এই সময় | ২২ জুন ২০২৪
  • স্যারেদের মধ্যেই 'যুদ্ধ'। সহ শিক্ষকের মারে আঙুলে আঘাত প্রধান শিক্ষকের? এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেল আসানসোলের রানিগঞ্জ হাইস্কুলে। শনিবারের এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।অভিযোগ, ওই স্কুলের এক সহ শিক্ষকের মারে গুরুতর আহত হয়েছেন প্রধান শিক্ষক প্রতীক চট্টোপাধ্যায়। ২০১৯ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদে রয়েছেন প্রতীকবাবু। অন্যদিকে, সেই স্কুলেই সহ শিক্ষক পদে ১৬ বছর চাকরি করছেন বিজয় দাস। তাঁর স্ত্রীও একই স্কুলে বাংলার শিক্ষিকা। জানা গিয়েছে, বিজয় দাসের স্ত্রী পাপিয়া মণ্ডলের ক্লাস নিতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বচসার সূত্রপাত।

    অভিযোগ, এদিন পাপিয়াদেবী একটি ক্লাস নিতে যাননি। আর তা নিয়েই বচসা শুরু হয়। মাঝখান থেকে সেই কথোপকথনের মধ্যে ঢুকে পড়েন বিজয় দাস। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় বিজয় দাস প্রধান শিক্ষকের আঙুল মচকে দেয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর স্কুল চত্বরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    যদিও এই মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শিক্ষক বিজয় দাস। অন্যদিকে, শিক্ষিকা পাপিয়া মণ্ডল বলেন, 'আমি এই স্কুলে ১৭ বছর চাকরি করছি। এত অপমানিত কোনওদিন হয়নি। হুমকি দিয়ে প্রধান শিক্ষক অবৈধভাবে ম্যানেজিং কমিটি তৈরি করেছিলেন। আমরা কয়েকজন প্রতিবাদ করেছিলাম। তারপর থেকেই আমাদের হেনস্থা করতে শুরু করেন তিনি।'

    তাঁর সংযোজন, 'পড়ুয়াদের ভুল বুঝিয়ে তিনি ভিডিয়ো করেছেন আমার নামে মিথ্যে অভিযোগ তুলে। আমার স্বামীকে দেখলেই প্রধান শিক্ষক মারতে যান। প্রধান শিক্ষক নিজেই আমার স্বামীকে মারতে গিয়ে হাতে চোট পান এবং 'সিন ক্রিয়েট' করেন।'

    অন্যদিকে, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, 'শিক্ষিকাকে ক্লাসে যেতে বলাটা অপরাধ। ২০২১ সাল পর্যন্ত স্কুলের সবকিছু ওঁরা স্বামী-স্ত্রীই দেখত। আমি যোগদান করার আগে থেকেই হুমকি পেতাম।' প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ, 'ওই দম্পত্তি কোনও কাজই করতে চান না। ক্লাস করতে বললেই অভব্য আচরণ করা শুরু করেন। বছর পাঁচেক ধরে হুমকি শুনছি। মাস ছয়েক আগেও আমাকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। আমার কাছে সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে। ওদের ভয়ে অন্যান্য শিক্ষকরা থরহরি কম্প।'

    এদিকে এই ঘটনায় শনিবার কার্যত লাটে ওঠে পঠন পাঠন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের এহেন আচরণে প্রভাব পড়েছে পডুয়াদের উপরেও। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন না অভিভাবকরা। ঘটনার পর দু’পক্ষই রানিগঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন।
  • Link to this news (এই সময়)