হিন্দু পরিচয়পত্রে মাদ্রাসায় পড়াশোনা! সুরাট থেকে ধৃত নন্দীগ্রামের যুবককে নিয়ে হাজারও প্রশ্ন
প্রতিদিন | ২৪ জুন ২০২৪
চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, হিন্দু (Hindu) হিসেবে নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে মাদ্রাসায় (Madrasa) পড়াশোনা। এমনই অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে এক গুজরাটের সুরাট থেকে বাংলাদেশি যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।তার কাছ থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের এক মাদ্রাসার সার্টিফিকেট উদ্ধার হয়েছে। আর তা নিয়েই তোলপাড় পড়েছে। তবে কি হিন্দু হয়ে মাদ্রাসায় পড়তে যাওয়ার সুযোগে অন্য কোনও ছক ছিল তার? এনিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। যদিও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দাবি, এই ছাত্র তাঁর প্রতিষ্ঠানের নয়। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
নন্দীগ্রাম-১ (Nandigram) ব্লকের গুমগড় হাই মাদ্রাসা দাউদপুর। সুরাট (Surat) থেকে গ্রেপ্তার হওয়া মুসলিম যুবকের কাছে উদ্ধার সার্টিফিকেটে এই মাদ্রাসার নামই উল্লেখ রয়েছে। তাতে ২০১০ সালের তারিখ দেখে আরও প্রশ্ন উঠেছে। বাম আমলেই এই যুবক বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে নদিয়ার চাকদহ দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল। এত বছর কেটে যাওয়ার পরও তার পরিচয়পত্র বা সার্টিফিকেট একবার পরীক্ষা করা হল না, তাতে বিস্মিত অনেকেই। আর এনিয়ে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে বাম ও তৃণমূলের (TMC) মধ্যে। বর্তমান শাসকদল এর জন্য তৎকালীন বাম সরকারকে দায়ী করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সিপিএম (CPM) নেতৃত্বের বক্তব্য, গোটা বিষয়টাই ধোঁয়াশা ভরা। কে স্কুলে ভর্তি করিয়েছিল, সার্টিফিকেটে কার সই রয়েছে, সেসব নিয়ে তদন্ত হোক।
এদিকে গুমগড় হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের দাবি, সার্টিফিকেটের (Certificate) সই তাঁর নয়। সই জাল (Fake) করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। ধৃত যুবককে জেরা করে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট হতে মরিয়া তদন্তকারীরা। কোন উদ্দেশে মুসলিম (Musilm) যুবক হিন্দু হিসেবে পরিচয়পত্র বানিয়েছিলেন, মাদ্রাসাতেই বা কেন পড়াশোনা চালান, সার্টিফিকেটের সই আদৌ আসল কি না, একাধিক প্রশ্ন উঠেছে।