• 'কমিশনের চাকরিই করতে পারেন', এবার মমতার রোষের মুখে খোদ মুখ্যসচিব-স্বরাষ্ট্রসচিব
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৭ জুন ২০২৪
  • লোকসভা ভোটের পর থেকেই একের পর এক প্রশাসনিক বৈঠক করে পুলিশ এবং আমলাদের কড়া বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার খোদ মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে শুনতে হল মুখ্যমন্ত্রীর 'ধমক'। উল্লেখ্য, উপনির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র বা মহকুমায় আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হয়েছে। এই আবহে সরকারি প্রকল্পের কাজ আটকে আছে বহু জায়গায়। এই নিয়ে নবান্নের বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা। এর জবাবে নাকি মুখ্যসচিব নির্বাচন কমিশনের বিধির উল্লেখ করেছিলেন। এরপরই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'তাহলে চাইলে নির্বাচন কমিশনেরই চাকরি করতে পারেন।' মমতার প্রশ্ন, যেখানে ভোট সেখানে ছাড়া রাজ্যের বাকি জায়গায় কেন কাজ আটকে আছে?


    রিপোর্ট অনুযায়ী, নবান্নে বুধবারের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে উদ্দেশ্য করে লাগাতার ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু সরকারি প্রকল্প আটকে থাকা নয়, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়েও আমলাদের কড়া কড়া প্রশ্ন করেন মমতা।



    এর আগে গত সপ্তাহে নবান্নে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছিলেন, সরকারি কর্মীদের মধ্যে দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা রয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যে বেড়ে চলা জমি মাফিয়াদের দাদাগিরি নিয়েও সেদিন ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন মমতা। এর আগে সন্দেশখালি থেকে শিলিগুড়িতে রামকৃষ্ণ মিশনের ঘটনায় বঙ্গ রাজনীতিতে জোর ঝড় উঠেছিল। এই পরিস্থিতিতে জমি মাফিয়াজের নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা। এরপর থেকেই রাজ্য জুড়ে অবৈধ দখলে থাকা ফুটপাথ উদ্ধার করতে দোকানদারদের উচ্ছেদ করার অভিযান চলছে।


    এর আগে জুন মাসের শুরুতে রাজ্য সরকারের সব দফতরের মন্ত্রী, সচিব, যুগ্মসচিব, জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই একাধিক আধিকারিকের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুখ‌্যমন্ত্রী। সেই দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডেকে কাজ নিয়ে সতর্কও করেন মমতা।



    এদিকে সমবায় সচিব কৃষ্ণা গুপ্তার বারংবার দিল্লি সফর নিয়ে নাকি সেই বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মমতা। এদিকে তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের সচিব রাজীব কুমারকে বকুনি শুনতে হয় মমতার। এর পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষা বিভাগের কাজ নিয়ে দফতরের সচিব অনুপ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে মমতার রোষের মুখে পড়েন পঞ্চায়েত দফতরের সচিব পি উলগানাথন। আর উপনির্বাচনের মুখে মমতার রোষের মুখে পড়লেন খোদ স্বরাষ্ট্রসচিব এবং মুখ্যসচিব।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)