এই সমীক্ষা শুধু শহর কলকাতা নয়, সারা রাজ্যজুড়ে করা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই নির্দেশের পর সন্ধ্যা থেকেই তৎপর হয়ে উঠল কলকাতা পুলিশ। ইতিমধ্যে শহরের একাধিক জায়গায় সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় থানাকে দিয়ে সেই সমীক্ষার কাজ করা হবে। হাতিবাগান, মানিকতলা, গড়িয়াহাট, নিউ মার্কেট, বড়বাজার-সহ বিভিন্ন এলাকায় দখলদারি নিয়ে সমীক্ষা চালানো হবে। সমীক্ষা হবে বহু অবৈধ পার্কিং নিয়েও। সেই সমীক্ষার কাজ ভিডিও রেকর্ড করবেন পুলিশ কর্মীরা। যাতে সমীক্ষা চলাকালীন এবং পরবর্তী সময়ের সমস্ত পরিস্থিতির নথি পুলিশের হাতে থাকে।
প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ অভিযানের তৃতীয় দিনে মুখ্যমন্ত্রী পর্যালোচনা বৈঠকে বসেন। দুপুর ১২টার সময়ে নবান্নের সভাঘরের সেই বৈঠকে উঠে আসে বেআইনি পার্কিং প্রসঙ্গ। তিনি এইসব বেআইনি নির্মাণ নিয়ে সমীক্ষার নির্দেশ দেন। মমতা বলেন, ‘‘এক মাস আপাতত উচ্ছেদ হবে না। সেই সময়ে আমাদের সার্ভের কাজ চলবে। কিন্তু তার মধ্যে সব ঠিক করতে হবে।’’ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘হকারদের আমি এক মাস সময় দিচ্ছি। এর মধ্যে সব গোছাতে শুরু করুন। রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। আমাদের সার্ভে চালু থাকবে। আপনাদের কোথায় জায়গা দেওয়া যায়, তা সরকার দেখবে। গোডাউনের ব্যবস্থাও করবে।’’ মমতার স্পষ্ট বার্তা,‘‘রাস্তা দখল করা যাবে না।’’
তিনি বলেন, ‘‘কাউকে বেকার করে দেওয়ার অধিকার আমার নেই। উচ্ছেদ করতে বলছি না, হকারদের জন্য একটি নির্দিষ্ট জোন করা হোক। তবে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। আমি চাই না কারও ব্যবসা বন্ধ হোক। কিন্তু বেশি সময় দেওয়া যাবে না। হকারির জায়গায় কেউ কেউ গোডাউন করে ফেলেছে। একজন হকার, চারটে ডালা, এটা চলবে না।’’