• বন্দরের দখল করা জমিতে পার্টি অফিস ভাঙতে আপত্তি, TMCকে জোর ধমক দিল আদালত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুন ২০২৪
  • কলকাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর কর্তৃপক্ষের জমি দখল করে তৃণমূল কংগ্রেসের বানানো পার্টি অফিস ভেঙে ফেলার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের মামলায় কড়া মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানিয়েছে, ১০০ বছর দখল করে থাকলেও কোনও সম্পত্তিতে কারও অধিকার জন্মায় না।


    পড়তে থাকুন - সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, শহরের বুকে বৈঠক হবে?

    গত ২০ জুন মাঝেরহাট ব্রিজের কাছে কলকাতা বন্দরের জমি দখল করে গড়ে ওঠা তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। পুলিশকে নির্দেশ দেন বন্দরের জমি থেকে পার্টি অফিসটি সরিয়ে ফেলতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির এজলাসের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। তাদের আইনজীবী দাবি করেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই পার্টি অফিস ওখানেই রয়েছে। পালটা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, সেখানে একটি মাল্টিস্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি করছে তারা। পার্টি অফিসের জন্য তাদের পথ অপরিসর হয়ে পড়ছে।

    দুপক্ষের কথা শুনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কোনও জায়গা কেউ ১০০ বছর দখল করে থাকলেও সেখানে তার অধিকার জন্মায় না।’ একই সঙ্গে এব্যাপারে রাজ্য সরকার ও বন্দর কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।


    আদালতের এই পর্যবেক্ষণে তৃণমূলের উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ বলেন, ‘জমি দখলমুক্ত করার নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভণ্ডামি করছেন তা আরেকবার স্পষ্ট হল। একদিকে তৃণমূল গরিব খেটে খাওয়া মানুষের ওপর দিয়ে বুলডোজার চালাচ্ছে। আরেক দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত বন্দরের জমি দখলে রাখার জন্য আদালতে আজগুবি যুক্তি দিচ্ছে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)