• কাউন্সিলরদের মদতে চলছে হোর্ডিং মাফিয়ারাজ, বিস্ফোরক দাবি সংগঠনের কর্তার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ জুন ২০২৪
  • রাজ্যজুড়ে জমি দখল নিয়ে যখন সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই টাকা নিয়ে বেআইনি হোর্ডিং লাগাতে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ বিধাননগরে মোটা টাকা উৎকোচ নিয়ে বেআইনি হোর্ডিং লাগাতে দিচ্ছেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের একাংশ। যার ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে বৈধ হোর্ডিং ব্যবসায়ীদের। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন হোর্ডিং ব্যবসায়ীদের সংগঠনের এক কর্তা।


    পড়তে থাকুন - সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর, শহরের বুকে বৈঠক হবে?

    পশ্চিমবঙ্গ আউটডোর হোর্ডিং অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সমিতির সদস্য সুজয় সাহা সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমাদের ব্যবসায় কাউন্সিলরের অজান্তে একটা লোহার রড পর্যন্ত পোঁতা যায় না। কোভিডের সময় থেকে বিধাননগরে বেআইনি হোর্ডিংয়ের রমরমা চলছে। এখানে কারা ঢুকে পড়ল আমরা জানি না। কার সঙ্গে কথা বলে কে কোথায় হোর্ডিং লাগাচ্ছে কিছু বোঝা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের আইনি জায়গা বেআইনিভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। যারা এটা করছে তারা কেউ ব্যবসায়ী নয়। তারা এসেছে শুধু মুনাফা লুঠতে। কাউন্সিলরদের একাংশের মদতে এটা হচ্ছে। তবে সবাই খারাপ নন। বিধানগরের মতো বেনিয়ম কলকাতা বা অন্য কোথাও দেখিনি। বিভিন্ন আধিকারিকদের সদিচ্ছা রয়েছে। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরদের সহযোগিতা তারা পান না।’


    এই নিয়ে পালটা হোর্ডিং ব্যবসায়ীদেরই আক্রমণ করেন সজলবাবু। তিনি বলেন, ‘এরাই তৃণমূলকে প্রথম রক্তের স্বাদ দিয়েছে। এখন তৃণমূল এদের রক্ত চাটছে। লোকসভা ভোটে বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য রাজ্যে কোনও হোর্ডিং খালি পায়নি বিজেপি। সব জায়গায় আগে থেকেই তৃণমূলের হোর্ডিং লাগানো ছিল। কিন্তু তার টাকা পাননি হোর্ডিংয়ের মালিকরা। বদলে কয়েকমাস তাদের বিনামূল্যে বাণিজ্যিক সংস্থার হোর্ডিং লাগানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছে পুরসভাগুলি।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)