• প্রবর্তক হোম বন্ধ করার নির্দেশ দিল জেলা মাস এডুকেশন অ্যান্ড এক্সটেনশন দপ্তর...
    আজকাল | ২৯ জুন ২০২৪
  • মিল্টন সেন,হুগলি : শুক্রবার চন্দননগর প্রবর্তক হোম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। তারপরেই এদিন সকাল থেকে চন্দননগরের হোম থেকে আবাসিকদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে শুরু করেন অভিভাবকরা। অশান্তি পাকানোর অভিযোগে তিনজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার চন্দননগর প্রবর্তক সেবা নিকেতন হোমে অভিভাবকদের মিটিংয়ে চরম অশান্তি হয়। হোমের সভাপতি পরিমল ব্যানার্জির বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে হোমের অপর ভবনের এক আবাসিকের সঙ্গে যৌন নির্যাতনের। সেই আবাসিকের সঙ্গে কথা বলে জেলা সমাজ কল্যাণ দপ্তর ও শিশু সুরক্ষা কমিটি হোমের সভাপতির বিরুদ্ধে পকসো আইনে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পর থেকে সভাপতি পরিমল ব্যানার্জি পলাতক। তিনি আর হোমে আসেননি। আবাসিক ছাত্রীরা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। পড়াশোনা বন্ধ করে দেয়। 

    অভিভাবকদের মিটিং ডেকে জানিয়ে দেওয়া হয় মেয়েদের বাড়ি নিয়ে যেতে। এই কথায় রাজি হয়নি অভিভাবকরা। তাদের দাবি ছিল সভাপতিকে ফেরাতে হবে এবং ছাত্রীরা হোমেই থাকবে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক যারা হোমে গিয়েছিলেন তাঁদের আটকে বিক্ষোভ শুরু হয়। পুলিশ উদ্ধারে গেলে খন্ডযুদ্ধ শুরু হয়। আধিকারিকদের দুটি গাড়ি ভাঙচুর হয়। আক্রান্ত হয় পুলিশও। পাল্টা পুলিশের লাঠিতে আহত হয় আবাসিকরা। রাতভর হোমেই অবস্থান করেন অভিভাবকরা। পুলিশ পিকেট থাকে। তারপরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোম বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। সকাল থেকে অনেক অভিভাবকই মেয়েদের নিয়ে বাড়ি রওনা দেন। অন্যদিকে এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। 

    অভিভাবকরা চন্দননগর থানার সামনে জড়ো হন। হোমের এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার পিয়ালি পাল বলেন, পরিমল বাবুর বিরুদ্ধে আগেও এরকম অভিযোগ হয়েছিল কিন্তু সেটা প্রমাণ হয়নি। উনি যেখানেই থাকুন নিশ্চয়ই আবার আসবেন।

    পরিমল ব্যানার্জির স্ত্রী আদ্যা ব্যানার্জি বলেছেন, তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। গত ৮ দিন ধরে তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। সে কোথায় আছে তিনি জানেন না। তবে জেলা প্রশাসনের তরফে চন্দননগরের প্রবর্তক নিকেতন হোম আপাতত বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
  • Link to this news (আজকাল)