• রাজ্যে ফের চোর সন্দেহে গণধোলাইয়ে মৃত্যু, চলে গেল ২৩ বছরের একটা তাজা প্রাণ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যে ফের গণপিটুনিতে মৃত্যু। এবার চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু হল ঝাড়গ্রামের যুবকের। নিহতের নাম সৌরভ সাউ । গুরুতর আহত অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন সৌরভের বন্ধু অক্ষয় মাহাতো। ছেলেকে মারধরে যুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহত সৌরভের বাবা।


    পড়তে থাকুন - কলকাতায় ফের মোবাইল চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে মৃত্যু, ৩ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

    ঘটনা গত ২২ জুনের। ঝাড়গ্রামের বেনাগেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সৌরভ বন্ধু অক্ষয়কে নিয়ে স্কুটারে করে জামবনি থানার খাটখুরায় ব্যক্তিগত কাজে যান। সেখানে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। রাস্তার পাশে রাখা ছিল রাস্তা তৈরির যন্ত্রপাতি ও মালপত্তর। সেখান থেকে সৌরভ ও অক্ষয় কিছু চুরি করেছেন বলে অভিযোগ তুলে তাদের ঘিরে ধরেন কয়েকজন গ্রামবাসী। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন জামবনি থানার পুলিশ। আহত ২ বন্ধুকে উদ্ধার করে ঝাড়গ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করায় তারা। সেখানে প্রথম থেকেই সৌরভের অবস্থা খারাপ বলে জানান চিকিৎসকরা। রবিবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    সৌরভের বাবা অবনী সাউ বলেন, ‘ওরা ২ বন্ধু মিলে ঘুরতে বেরিয়েছিল। কিছু লোক ওদের চোর বলে ধাওয়া করে। প্রাণে বাঁচতে সৌরভ ও অক্ষয় পালানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। পুলিশ ফোন করে আমাকে ঘটনার কথা জানায়। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে গিয়ে দেখি ছেলের অবস্থা খুবই খারাপ। এরকমভাবে আইন হাতে তুলে নেওয়া উচিত নয়। কাউকে চোর বলে মনে হলে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। মারধর করবে কেন?’


    গত কয়েক সপ্তাহে নানা গুজবকে কেন্দ্র করে বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একাধিক গণধোলাইয়ের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের অনেক চেষ্টাতেও এই প্রবণতা থামছে না। বিরাটিতে চলন্ত ট্রেনে শিশুচোর সন্দেহে শিশুর মা-কেই মারধর করা হয়। মনোবিদরা বলছেন, প্রশাসনের ওপর মানুষের আস্থা কমে যাওয়ার লক্ষণ হচ্ছে এই ধরণের ঘটনা। মানুষ মনে করছে পুলিশকে বলে কোনও লাভ নেই। তারা সুবিচার দেবে না। তাই মানুষ আইন নিজে হাতে তুলে নিচ্ছে। পুলিশকেই অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ মুছতে হবে। নইলে এই ধরণের ঘটনা আগামীতেও ঘটবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)