শুনানি বয়কট করলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা, কীসের প্রতিবাদে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ জুলাই ২০২৪
দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন—ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম। সরকারিভাবে এবার বাতিলের খাতায় ইন্ডিয়ান পেনাল কোড, ১৮৬০। বদলে গিয়েছে দেশের ফৌজদারি আইন। থাকল না ফোরটুয়েন্টি বা চারশো বিশ, ৪৯৮এ ধারা। দেড়শো বছরেরও বেশি প্রাচীন, ব্রিটিশ জমানার ভারতীয় দণ্ডবিধির দিন শেষ হয়ে গেল। একইসঙ্গে অতীত হয়ে গেল ফৌজদারি দণ্ডবিধি এবং ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট, ১৮৭২। বিরোধীদের আপত্তিতে কর্ণপাত না করে আজ, সোমবার দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের তিনটি নয়া ফৌজদারি আইন।
তবে এই তিন নয়া ফৌজদারি আইন কার্যকর করার প্রতিবাদে আজ মাসের প্রথম দিন শুনানি বয়কট করলেন কলকাতা হাইকোর্টের তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা। কলকাতা হাইকোর্টের কোনও এজলাসেই আজ মামলার শুনানির সময় তাঁরা উপস্থিত হননি। এমনকী অধিকাংশ মামলাতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা অংশ নেননি। তাই শুনানি চলা সম্ভব হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবীরা এই তিন আইনকে নির্মম বলে অভিহিত করেছেন। আজ কয়েকটি মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে। কিন্তু একপক্ষের আইনজীবী সেখানে উপস্থিত হননি।
এই তিন আইনের বিরোধিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক জানান, এই তিনটি আইনের জেরে দেশের বিচারব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। একতরফাভাবে এই আইন পাশ করানো হয়েছে। এই আইনগুলি অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারের সংশোধন করা উচিত। আজ রাজ্যের সমস্ত আদালতে প্রতীকী কর্মসূচি নিয়েছে বার কাউন্সিল অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল। ‘কালা দিবস’ পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কারণ কেন্দ্রের এই নয়া তিন আইন নাগরিক বিরোধী বলে দাবি করেছে বার কাউন্সিল। যা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে।
এই তিন আইনে পুলিশকে ইচ্ছেমতো গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে বলে দেশজুড়ে চর্চা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তিন ফৌজদারি আইনের বিরোধিতা করে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন যাতে দণ্ড সংহিতা কার্যকর করার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তাতে কোনও সাড়াশব্দ করা হয়নি। উলটে রবিবার রাত ১২টার পর থেকে কার্যকর হয়েছে এই তিন আইন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, ‘ইন্ডিয়া’ ব্লক সংসদে এই বিষয়টি নিয়ে সরব হবে।