• ন্যাকের মূল্যায়নে চন্দননগর কলেজ পেল এ প্লাস কলেজের শিরোপা...
    আজকাল | ০২ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি: সর্বাধিক গ্রেড নম্বর পেয়ে ন্যাকের বিচারে সেরা অর্থাৎ এ প্লাস চন্দননগর গভঃ কলেজ। রাজ্যের প্রথম সরকারি কলেজ হিসাবে ন্যাকের মূল্যায়নে সর্বাধিক নম্বর এসেছে চন্দননগর গভ‌‌র্নমেন্ট কলেজের ঝুলিতে। সোমবার কলেজের সেমিনার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ন্যাকের প্রতিনিধি গৌতম গাঙ্গুলী, আইকিউএসই–র কো–অর্ডিনেটর দীপান্বিতা মজুমদার উপস্থিত থেকে শংসাপত্র তুলে দেন কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে। 

    ফরাসি আমলে তৈরি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ক্রমবিবর্তনের পথে নানা ধাপ অতিক্রম করে কলেজ ডুপ্লে প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯০১ সালে। পরবর্তীকালে ১৯৪৮ সালে কলেজের নামকরণ হয় চন্দননগর মহাবিদ্যালয়। বিপ্লবী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে দীর্ঘ ২৩ বছর ১৯০৮ থেকে ১৯৩১ বন্ধ ছিল এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৫৪ সালের ২ অক্টোবর থেকে এই মহাবিদ্যালয়, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচ্চশিক্ষা দপ্তরের পরিচালনাধীন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠানে ১৯টি বিভাগে স্নাতক স্তরের এবং ৩টি বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরের পঠনপাঠন চলছে। কলেজের প্রায় দুশো বছরের অধিক প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ভবনে বিপ্লবীদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত চন্দননগর কলেজ মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০২৩ সালে। বর্তমানে নানা বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র–ছাত্রী সহ বহু দেশী–বিদেশী পর্যটকদের কাছে অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান হয়ে উঠেছে এই মিউজিয়াম। 

    এদিন সেরা কলেজের সন্মান হাতে পাওয়ার পর কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস সরকার বলেছেন, গত ২৫ এবং ২৬ জুন, ২০২৪ চন্দননগর মহাবিদ্যালয়ে ন্যাশনাল এসেসমেন্ট এন্ড অ্যাক্রিডিয়েশন কাউন্সিল (ন্যাক) এর মূল্যায়নকারী দলের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। চন্দননগর মহাবিদ্যালয় (১৮৬২) তৃতীয় দফার (ন্যাক) মূল্যায়নে ৩.৪৬ মান সহ এ+ গ্রেড পেয়েছে। দেবাশী, বাবু দাবি করেছেন, সর্বভারতীয় স্তরে ১৯৯৪ সালে এই মূল্যায়ন শুরু হওয়ার পর এটিই এখনও পর্যন্ত এই রাজ্যে কোনও সরকারী কলেজের প্রাপ্ত সর্বাধিক গ্রেড নম্বর। বিগত দুটি দফায়, ২০০৭ এবং ২০১৬ সালে চন্দননগর মহাবিদ্যালয় বি++ গ্রেড পেয়েছিল। সর্বভারতীয় স্তরে (এআইএসএইচই) নথিভুক্ত প্রায় পঞ্চাশ হাজার কলেজ রয়েছে। তার মধ্যে এক শতাংশেরও কম কিছু কলেজ এখনও পর্যন্ত এ+ গ্রেড পেয়েছে।

    ছবি:‌ পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)