• হকারদের নিয়ে সমীক্ষা শুরু করে দিল পুরসভা, প্রথম দিনে অ্যাপে তোলা হল ৩৫ জনের নাম
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ জুলাই ২০২৪
  • মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফুটপাথ দখল রুখতে কলকাতা পুরসভাকে হকারদের নিয়ে সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ পাওয়ার পরেই তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিল কলকাতা পুরসভা। সোমবার থেকেই হকার সমীক্ষার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। অ্যাপে তোলা হচ্ছে হকারদের নাম। প্রথম দিনেই ৩১২ জন হকারের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে।


    হাতিবাগান থেকে শুরু করে নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট, বেহালা প্রভৃতি জায়গায় সমীক্ষা চালায় পুরসভার আধিকারিক, কর্মীরা। ডেপুটি মেয়র এবং মেয়র পারিষদও প্রথম দিনে উপস্থিত ছিলেন। হাতিবাগানে সমীক্ষা কাজ চালানোর সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। অন্যদিকে, নিউ মার্কেটের বারট্রাম স্ট্রিটে উপস্থিত ছিলেন হকার পুনর্বাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। এছাড়াও পুরসভার আধিকারিকদের পাশাপাশি ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। 

    অ্যাপে হকারদের নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি কেউ যাতে ফুটপাতে না বসেন, তার জন্য মাইকিং করে সতর্ক করে পুরসভা। মূলত হকারদের আধার কার্ড এবং প্যান কার্ডের ছবি নেওয়া হচ্ছে। আর স্টলের সামনে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলা হচ্ছে হকারের। একইসঙ্গে, ২০১৫ সালে যে নথি সংগ্রহ করা হয়েছিল তাতে তাদের নাম রয়েছে কিনা তা জানতে চাওয়া হয়। পুরসভার স্পষ্টভাবে এদিন জানিয়ে দেয়, কারও রাস্তার দিকে মুখ করে অথবা রাস্তার উপর ব্যবসা করা চলবে না। পিছনে অংশ ঢেকে দেওয়া হবে। বেশ কয়েকজন স্থায়ী দোকানদারকে ফুটপাত দখল করে জিনিস রাখতে দেখা যায়। সেই দোকানগুলিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন দেবাশিস কুমার।

    উল্লেখ্য, রাজ্যে বেআইনি পার্কিং এবং দখলদারি সমস্যার সমাধান খুঁজতে একটি কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কমিটিতে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ, অরূপ বিশ্বাস, মলয় ঘটক রয়েছেন। এছাড়াও রয়েছেন অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার। 

    শুক্রবার ফিরহাদ সেই কমিটিকে নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন। তারপরেই হকারদের নিয়ে সমীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ১৫ দিনের মধ্যে এই সমীক্ষা শেষ করে রিপোর্ট দিতে হবে। সেইমতোই তৎপরতার সঙ্গে কাজ শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। কলকাতার পাঁচটি হকার জোনে এই সমীক্ষা হবে। তারপর পুরসভায় নথি যাচাই করে চলতি মাসের শেষে কিংবা অগস্ট মাসের শুরুর দিকে মুখ্যমন্ত্রী কাছে রিপোর্ট জমা দেবে পুরসভা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)