বাবুল হক, মালদহ: ভরা বর্ষায় গাছের তলায় দিন কাটাচ্ছেন প্রৌঢ়া। প্রায় সাতদিন ধরে আধপেটা হয়ে রয়েছেন। স্থানীয়রা কিছু দিলে তবেই জুটছে খাবার। নিজের বাড়ি ঢুকতে পারছেন না। ভয় গেলেই মারধর করবে ছেলে! পুলিশ, প্রশাসনকে জানিয়েও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। অসহায় অবস্থায় গাছের তলায় দিন কাটছে তাঁর। মহিলার অভিযোগ, ছেলে মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন।
মালদহের (Malda) ইংরেজবাজার পুরসভার ২৩ নম্বর ওর্য়াডের বাসিন্দা গঙ্গা হরিজন। তাঁর অভিযোগ, ছেলে মোহন হরিজন মারধর করে তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে দিয়েছেন। আরও অভিযোগ, আগে হাত ভেঙে দেওয়া ও মাথা ফাঁটিয়ে দেওয়ার মতো কাণ্ড ঘটিয়েছেন ‘গুণধর’ ছেলে।
মহিলার কথা অনুয়ায়ী, সপ্তাহখানেক আগে নির্যাতনের মাত্রা বাড়ে। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়। মারধরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে বাঁচায়। ছেলে সোনার গয়না টাকা কেড়ে নিয়েছে। এখন বাড়ির দলিল হাতাতে চাইছে, বলে স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার কথা জানানো হয়েছে এলাকার কাউন্সিলরের কাছেও। তবে কোনও সুরাহা হয়নি।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ছেলে মায়ের ওপর নিয়মিত মারধর করে। এখন বাড়ির দখল নিয়ে, মাকে তাড়িয়ে দিয়েছে। অথচ সেই বাড়ি তাঁর মায়ের নামেই। এমনকি গঙ্গাদেবীর নামেই আবাস যোজনার টাকায় তৈরি হয়েছে বাড়ি। সেই ছেলে সর্বদা দলবল নিয়ে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁধা দিলে তাঁদেরকেও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের দাবি, মোহনের পেছনে প্রভাবশালীর মদত রয়েছে। অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মোহন। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সুজিত সাহা জানান, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা বলে মহিলাকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে।