তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে শুরু ধরপাকড়। শিলিগুড়ির আরও এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে শিলিগুড়ি কমিশনারেটের পুলিশ। দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।
ধৃত গৌতম গোস্বামী। ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি ব্লকের তৃণমূল সহ সভাপতি তিনি। এছাড়া শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন পর্ষদেরও সদস্য। এর আগে জমি দুর্নীতি কাণ্ডে দেবাশিস প্রামাণিক নামে এক তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাকে জেরা করেই গৌতম গোস্বামীর নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তার পরই তাঁর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি।
তবে দেবাশিস গ্রেপ্তারের পর থেকে গৌতম সতর্ক হয়ে যান। শিলিগুড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। প্রথমে কলকাতায় চলে আসেন। বেশ কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে চলে যান হায়দরবাদে। তার পর বেঙ্গালুরু হয়ে দিল্লিতে পৌঁছন তৃণমূল নেতা। গোপন সূত্রে সে খবর শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপের কাছে পৌঁছয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লিতে পৌঁছন আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে।
এর আগে গত জুন মাসে, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির তৃণমূল নেতা দেবাশিস প্রামাণিককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ। দেবাশিস মেয়র গৌতম দেব ‘ঘনিষ্ঠ’ বলেই জানা গিয়েছে। এর পর পুলিশ দেবাশিস প্রামাণিকের ‘ঘনিষ্ঠ’ বিমল এবং মহম্মদ কালামকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের জেরা করেই গৌতম গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা।