• ফের গণপিটুনিতে মৃত্যু, ভাঙড় থানার নিকটেই দীর্ঘক্ষণ পরে থাকল দেহ
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যে গণপিটুনির মতো ঘটনা রুখতে নবান্ন থেকে সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসনকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলায় জেলায় পুলিশকে পাঠানো হয়েছে গাইডলাইন। কিন্তু, নির্দেশই যেন সার! এতকিছুর পরেও গণপিটুনির ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ পুলিশ। রাজ্যে আবারও গণপ্রহারে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। তাও আবার ঘটনাটি ঘটেছে থানা থেকে কয়েকশো মিটার দূরে। চোর সন্দেহে এক ব্যক্তিকে বেঁধে পিটিয়ে খুন করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় থানার অন্তর্গত ভাঙড় বাজারে। অভিযোগ উঠেছে, খুনের পর দীর্ঘক্ষণ সেখানে পড়ে থাকলেও পুলিশ আসেনি। শেষ পর্যন্ত গ্রামবাসীরা গিয়ে দেহ উদ্ধার করেন।


    পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম আজগার মোল্লা। তিনি ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। এদিন ব্যক্তিকে খুনের ঘটনার পর থেকে বাজারের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজন কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কেউই এবিষয়ে কিছু বলতে চাইছেন না। তবে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় চুরির ঘটনা ঘটছে তবে এলাকায়। নাইট গার্ড থাকা সত্ত্বেও কীভাবে চুরি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্থানীয়রা। তবে নাইট গার্ড দাবি করেন তিনি চলে যাওয়ার পরেই এই চুরির ঘটনা ঘটছে। তিনি থাকাকালীন কোনও চুরির ঘটনা ঘটেনি। তাই চোর ধরতে বেশ কয়েকদিন ধরেই রাতে এলাকা পাহারা দিচ্ছিলেন স্থানীয়রা। 

    গতকাল রাতে আজগারকে এলাকায় ঘুরে বেড়াতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর তারা চোর সন্দেহে ওই ব্যক্তিকে ধরে বেঁধে রাখেন। পরে এলাকার আরও মানুষজন জড়ো হয়ে তাকে মারধর করতে শুরু করে।  পরে দেখা যায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছিলেন আজগরের বাড়ির লোকজন। তবে তারা বলতে পারছেন না কীভাবে এই ঘটনা ঘটল। 

    তবে থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ভাঙড় বাজারে এমন ঘটনা ঘটার পরেও পুলিশ কেন টের পেল না? কেনই বা দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ পড়ে থাকার পরেও পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করল না তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তবে এদিনের ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা জানতে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)