আগে এই রথ পুরনো রাজবাড়ি থেকে নতুন রাজবাড়ি নিয়ে আসা হলেও, বিগত কয়েক বছর ধরে সুবিশাল এই রথটিকে, নতুন রাজবাড়ী থেকে পুরনো রাজবাড়ী নিয়ে আসার চল শুরু হয়েছে। মূলত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য, ও রথের মধ্যে থাকা মূল্যবান মূর্তি যাতে কেউ চুরি করে না নিয়ে যায়, সেই বিষয়টি নজরে রেখে, বছর ভর খোলা আকাশের নিচে নতুন রাজবাড়ীর সামনে, কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয় রথটি। পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা সময় কাল থেকেই এখানেও এই রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। আর এই রথযাত্রা উৎসবকে ঘিরে বসে মেলা, যেখানে প্রাচীন সময়ের চাষ আবাদের জন্য প্রয়োজনের যে সকল সামগ্রী থাকতো, সে সকল সামগ্রী, প্রতিবছর নিয়ম করে এই রথের মেলায় পসরা নিয়ে হাজির হয়। আর তার সাথে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে, মহিলাদের বিভিন্ন প্রসাধনের ও সাজগোজের সামগ্রী, সহ বিভিন্ন গাছের চারা ও আচারের দোকান নজর কাড়ে এই মেলায়।
আর এ সকলের সাথে নাগরদোলা সহ নানাবিধ খাবার দোকানের স্টল, ভোজন রসিকদের আকর্ষিত করে মেলায়। জানা গেছে আট দিন ধরে চলবে এই মেলা। এবারও এই রথের মেলা কে কেন্দ্র করে ভক্তের ঢল ছিল চোখে পড়ার মত। এদিন হাজারো হাজার ভক্ত রথের দড়ি টেনে, দীর্ঘ পথ পেতলের রথ কে নিয়ে গিয়েছে সকলে। আর এ সকল বিষয়কেই লক্ষ্য রাখতে পুলিশ প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও লক্ষ্য করা গেছে মেলা প্রাঙ্গণে। এবারও রথের মেলায় রথের দড়ি টানতে পেরে স্বভাবতই খুশি ভক্তরা।
পিতলের রথে এবারও হাজারো ভক্ত দড়িতে টান দিয়ে নতুন রাজবাড়ী থেকে রথ কে নিয়ে গেল পুরনো রাজবাড়িতে, আর এই রথ টানা কে ঘিরে ভক্তদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। জানা গেছে, রাণীগঞ্জের দীর্ঘ প্রাচীন এই পিতলের রথের মেলা দেখতে, দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষজনের সমাগম ঘটে এই মেলায়। এই রথের মেলা প্রসঙ্গে জানা যায়, পিতলের এই রথ এবার ৯৯ তম বছরে পড়ল। প্রাচীনকালে সিয়ারশোল রাজ পরিবারের এই রথ নিয়ে যেসব কথা উঠে আসে, তা অনেকটাই এরকম।