• ‘‌নাগরিকত্বের জন্য আপনারা আবেদন করুন’‌, উপনির্বাচনের আগে সিএএ চাল শান্তনুর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জুলাই ২০২৪
  • নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ নিয়ে আবেদন করার জন্য ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়িতে বিশেষ শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। বাগদার উপনির্বাচনের ঠিক আগে রবিবার মতুয়া সম্মেলনে এসে এই কথা জানালেন শান্তনু ঠাকুর। এবার বনগাঁ লোকসভা আসন শান্তনু ঠাকুর তথা বিজেপির দখলে এলেও লড়াই কঠিন ছিল। এবার বাগদা বিধানসভা আসনে আরও কঠিন লড়াই হতে যাচ্ছে। কারণ এখানে ঠাকুরবাড়ির যুবতীকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে। রাজ্যসভার সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের মেয়ে মধুপর্ণা ঠাকুরকে প্রার্থী করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে মতুয়া ভোট ভাগ হয়ে যাবে। এই আবহে পাল্টা চাল দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

    এই বিষয়ে বনগাঁর ঠাকুরবাড়িতে আগামী বুধবার থেকে এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে আবেদন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই আবেদন জমা দিলে দেশে পরবর্তী কালে এনআরসি হলে তাতে সুবিধা হবে। এটাই শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য। লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ কার্যকর হয়েছিল দেশে। এই পরিস্থিতিতে এনআরসি চালু নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উস্কে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। ১০ জুলাই বাগদা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। রবিবার ওই এলাকাতেই মতুয়াদের একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘‌মতুয়া মহাসংঘ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সার্টিফিকেট যাতে আপনাদের হাতে পৌঁছয়। ঠাকুরবাড়িতে শিবির করে তার ব্যবস্থা করবে। আগামী বুধবার ক্যাম্প হবে। সকলে আবেদন করুন।’‌


    আগামী বুধবার ১০ তারিখ। সেদিনই রাজ্যের চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর সেদিনই এই ক্যাম্প শুরু হবে। এই বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ বাগদা আর রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র দুটি মতুয়া অধ্যুষিত। তাই পরিকল্পনা করেই এই ক্যাম্প চালু করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও মতুয়া ভক্তদের শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আগামী দিনে যদি ভারতবর্ষে কোনও সরকার এনআরসি চালু করে তাহলেও মতুয়ারা এর আওতায় পড়বেন না। নাগরিকত্বের জন্য আপনারা আবেদন করুন। শংসাপত্র পাবেন। তখন আগামী দিনে ভারতবর্ষে কোনও সরকার এনআরসি চালু করলেও আইন অনুযায়ী আপনারা তার আওতায় পড়বেন না।’‌

    এছাড়া গত মার্চ মাসে দেশজুড়ে কার্যকর হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ। ২০১৯ সালে সংসদে পাশ হয় এই বিল। তারপর তা আইনে পরিণত হয়। সিএএ’‌র মূল বিষয় হল— ২০১৪ সালের মধ্যে পাকিস্তান, আফগানিস্তান কিংবা বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং পার্সিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া। তার শর্ত হল, তাঁদের অন্তত পাঁচ বছর ধরে ভারতে বসবাস করতে হবে। এটার প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে বিরোধীরা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবারই বলেছেন, এই দেশে যাঁরা বসবাস করছেন তাঁরা সকলেই ভারতের নাগরিক। তাই আলাদা করে নাগরিকত্ব দেওয়া বা নেওয়ার প্রশ্নই নেই।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)