দুষ্প্রাপ্য ৬ হাজার পুঁথির সম্ভার, ডিজিটাল সংরক্ষণের পথে হাওড়ার সংগ্রহশালা
এই সময় | ০৯ জুলাই ২০২৪
রামায়ণ, মহাভারত নিয়ে লেখা পুঁথি, দর্শন ও ব্যাকরণ সহ নানা অমুদ্রিত পুঁথির সম্ভার। সংগ্রহ করে রাখা ছিল হাওড়ার সংস্কৃত সাহিত্য সমাজের সংগ্রহশালায়। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সেগুলিকে সংরক্ষিত করে রাখার পর এবার শুরু হল সেগুলিকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা। সংরক্ষণের কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টার।হাওড়ার পন্ডিতদের লেখা প্রায় ছয় হাজার পুঁথি রাখা রয়েছে এই সংগ্রহশালায়। বর্তমানে অতি প্রাচীন সেইসব পুঁথির ডিজিটাল লাইব্রেরি তৈরির কাজ শুরু হল। ডিজিটাল সংরক্ষণ করে রাখা হলে আগামী দিনে এই পুঁথিগুলি গবেষণার কাজে সহায়তা করবেন বলেই জানালেন উদ্যোক্তারা। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ নির্মাল্য নারায়ণ চক্রবর্তী এবং পাণ্ডুলিপিবিদ রত্না বসুর তত্ত্বাবধানে এই সম্পূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পন্ন হচ্ছে।
হাওড়ার পি ১৪ হরেন্দ্রনাথ ঘোষ সরণিতে রয়েছে হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ। ১৯৩৭ সালে যার প্রতিষ্ঠা হয়। গ্রন্থাগার দিয়ে শুরু পথ চলা। এরপর শুরু হয় প্রাচীন দুর্মূল্য পুঁথি সংগ্রহের কাজ। হাওড়ার বিভিন্ন পন্ডিতদের লেখা প্রায় ছয় হাজার পুঁথি স্থান পেয়েছে এখানকার সংগ্রহশালায়। যেগুলো পনেরো শতক ও তার পরের সময়কালে লেখা। ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে এগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকমতো করা হয়েছে এখানে। কিন্তু ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে এই সমস্ত পুঁথি এবার ডিজিইজেশনের কাজ শুরু করেছে হাওড়া সংস্কৃত সাহিত্য সমাজ।
কলকাতার ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের সাহায্যে এই কাজ ত্বরান্বিত হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ হলে গবেষকদের কাজের নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা। হাওড়া সংস্কৃতি সাহিত্য সমাজের সম্পাদক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, এখানে বহু পুঁথি রয়েছে যেগুলো এখনও অমুদ্রিত। রামায়ণ, মহাভারতের ওপর লেখা পুঁথি যেমন রয়েছে। তেমনই পুরাণ, দর্শন ও ব্যাকরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর লেখা পুঁথি রয়েছে। দেশ বিদেশের গবেষকরা এখানে আসেন গবেষণার কাজ করতে। কিন্তু হাতে-হাতে ব্যবহার করলে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এগুলোর ডিজিটাইজেশন করা জরুরি হয়ে পড়ে।
ভক্তি বেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের ডিন ডঃ সুমন্ত রুদ্র বলেন, ‘প্রাচীন এই পুঁথি গুলোতে যা রয়েছে তা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। এইসব প্রাচীন পুঁথি যা ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে সেগুলো নিয়েই ডিজিটাল লাইব্রেরি বানানো হবে।’