• বেসরকারি বাস বাতিলে বাড়বে যাত্রী দুর্ভোগ? স্পষ্ট ব্যাখ্যা পরিবহণ মন্ত্রীর
    এই সময় | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তিলোত্তমার রাস্তা থেকে উধাও হবে একাধিক বেসরকারি বাস। ১৫ বছরের বেশি পুরনো বাস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। এত পরিমাণ বাস তুলে নেওয়া হলে সংকটে পড়বেন যাত্রীরা? কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় প্রভাব ফেলবে এই সিদ্ধান্ত? দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য বাস বাতিলের সিদ্ধান্ত যাত্রীদের দুর্ভোগ ডেকে আনতে পারে? উত্তর দিলেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।২০০৯ সালে যে সব নতুন বাস রাস্তা নেমেছিল, আগামী অগাস্ট মাসে সেই সব বাসের বয়স ১৫ বছর পেরিয়ে যাবে। ফলে সেগুলিকে বাতিল করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার নির্দেশ রয়েছে এমনটি। পরিবহন দফতরের হিসেব অনুযায়ী, কলকাতার রাস্তায় বেসরকারি বাস চলে চলে ৩ হাজার ৬১৫টি। এর মধ্যে ১৫ বছরের পুরনো হয়ে গিয়েছে এমন বাসের সংখ্যা কয়েক হাজার। এত পরিমাণ বাস বাতিলের খাতায় নাম লেখালে সমস্যায় পড়তে পারেন যাত্রীরা বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।

    পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে ১৫ বছরের উপরে গাড়ি চলা নিষিদ্ধ আছে। সেগুলিকে স্ক্র্যাপ করতে হয়। ২০০৯ সালে যতগুলি বাস রেজিস্ট্রেশন হয়েছিল, ঠিক ততগুলো গাড়ি বাতিল করা হবে। সেই সংখ্যাটা হাজার হাজার নয়।’ তবে, যাত্রীদের দুর্ভোগের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেও জানালেন তিনি। তাঁর কথায়, গত দশ বছরে আমাদের শহরে প্রচুর অ্যাপ ক্যাব সংস্থা চালু হয়েছে। প্রায় ৫০-৬০ হাজার গাড়ি কলকাতায় চলাচল করছে। তিনি বলেন, ‘হাহাকার হওয়ার কোনও জায়গায় নেই। সরকারি বাসের ক্ষেত্রেও পুরনো বাস বাতিল করে বিকল্প বাসের ব্যবস্থা হবে।’

    সিটি সাব আরবান বাস সার্ভিসের সাধারণ সম্পাদক টিটু সাহা বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল করা হচ্ছে। সরকারি তরফে যে সংখ্যক বাস কমছে, সেটা পুনরায় বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তবে তাঁর কথায়, মূলত জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাস মালিকরা ক্ষতি মেনে নিয়ে নতুন বাস নামাতে পারছেন না। বাস ছাড়াও অনেক রকমের যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। এই সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে নতুন বা কতটা রাস্তায় নামবে,সেটার উপরেই নির্ভর করছে এই সমস্যার সমাধান।

    অন্যদিকে, অল ইন্ডিয়া বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘২০১৮ সালের পর থেকে সাধারণ যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বাস ভাড়া কোনওভাবে বাড়ানোর পক্ষপাতি নয় সরকার। সেই কারণে, অনেক বাস মালিকদের অনীহা চলে এসেছে নতুন বাস নামানোর।’ এছাড়াও করোনা কালে পরিবহণ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত অনেকেই অন্য পেশায় বাধ্য হয়ে চলে গিয়েছিলেন। সেই কারণে অনেক রুটে বাস বন্ধও হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এইরকম নানা অসুবিধা নিয়ে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাঁরাও এর সমাধান সূত্রে বের করার চেষ্টা করছেন।’
  • Link to this news (এই সময়)