• কেন্দ্রের সমীক্ষায় বাংলায় সেরা ৮ হাসপাতাল, প্রথম স্থানে রানাঘাট
    বর্তমান | ১৩ জুলাই ২০২৪
  • সুদীপ্ত কুণ্ডু, রানাঘাট: রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ও পরিকাঠামো নিয়ে বরাবরই সরব বিরোধীদল বিজেপি। অথচ, কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন তাদের সরকারই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের সমীক্ষাই রাজ্যের হাসপাতালগুলির অপারেশন থিয়েটারের পরিকাঠামো ও প্রসূতি চিকিৎসাকে সেরার স্বীকৃতি দিয়েছে। মার্চ মাস থেকে জুন পর্যন্ত চলা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘লক্ষ্য’ সমীক্ষায় ৮০ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আটটি হাসপাতাল। প্রায় ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল। আর্থিক পুরস্কার বাবদ কেন্দ্রের তরফে এই হাসপাতাল পাবে মোট ১২ লক্ষ টাকা। 


    ন্যাশনাল হেলথ সিস্টেম রিসোর্স সেন্টারের তরফে গত ১১ মার্চ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত রাজ্যের ছোট-বড় সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিকে নিয়ে চলেছিল ‘লক্ষ্য’ সমীক্ষা। সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল মহাকুমা হাসপাতাল, জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজগুলি। মূলত, হাসপাতালের লেবার রুমের পরিকাঠামো ও প্রসূতিদের অস্ত্রোপচার পদ্ধতি কতটা উন্নত, তার ওপরেই হয়েছিল সমীক্ষা। জানা গিয়েছে, ৯৬.৮৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে এই সমীক্ষায় প্রথম হয়েছে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতাল। দুই বিভাগেই সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে এই হাসপাতাল। ৯৪.৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। ৯৪.১৭ নম্বর পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল। এছাড়াও তালিকায় রয়েছে মালবাজার মহাকুমা হাসপাতাল, বোলপুর মহকুমা হাসপাতাল, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নাম।


    রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী বলেন, ‘এই সাফল্যের পিছনে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী থেকে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের অবদান অনস্বীকার্য। সমস্ত পরিকাঠামো থাকলেও টিম ওয়ার্ক ছাড়া কোনও হাসপাতালই পরিষেবায় সেরা হতে পারে না। আশা করছি, আগামী দিনেও উন্নত পরিষেবার ধারা আমরা বজায় রাখব।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন মাস ধরে চলা ‘লক্ষ্য’ সমীক্ষায় রোগীদের সন্তুষ্টি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, মানোন্নয়ন, এলাকা নির্ধারণ এবং দুই বিভাগের পরিকাঠামোর ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছিল। সমীক্ষায় প্রথম হওয়া রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতাল ৪ লক্ষ টাকা করে আগামী তিন বছর মোট ১২ লক্ষ টাকা করে পাবে। যাতে হাসপাতালের রোগী পরিষেবাকে আরও উন্নত করার সুযোগ পায়। চিকিৎসক মহলের দাবি, সরকারি হাসপাতালগুলিকে যেভাবে ঢেলে সাজা হয়েছে, তাতে এখন আর বেসরকারি হাসপাতালের দিকে ছুটতে হয় না দুঃস্থ রোগীদের। বহু হাসপাতালে চিকিৎসক সঙ্কট থাকলেও রোগী পরিষেবায় কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। এই মুহূর্তে বহু রাজ্যের তুলনায় বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খ্যাতনামা চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)