২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রয়াত হন মানিকতলার দীর্ঘদিনের বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। তিনি জীবিত থাকাকালীনই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মানিকতলার গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলে মামলা করেছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সেই মামলার কারণেই সাধনবাবু প্রয়াত হলেও দীর্ঘদিন উপনির্বাচন হয়নি ওই আসনে। অবশেষে গত ১০ জুলাই হয় উপনির্বাচন। শনিবার ছিল ভোটগণনা। শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন সাধন জায়া সুপ্তি পাণ্ডে। ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে দশটা নাগাদ মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে যায় ফল। ষষ্টদফার গণনা শেষে ২০ হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে সুপ্তিদেবী। গণনা শেষে দেখা গেল এবারও মানিকতলা তৃণমূলের দখলেই। ব্যাবধান ৬০ হাজারের বেশি।
এদিন সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রে দেখা গিয়েছে দুই দলের প্রার্থীকে। তৃণমূল এগিয়ে যেতেই কল্যাণ চৌবে অভিযোগ করেন, যদি ৫৫ শতাংশ ভোট পড়ে থাকে, তার ৫০ শতাংশই রিগিং। এদিকে সুপ্তি পাণ্ডেও জয় নিয়ে একশো শতাংশ নিশ্চিত। তিনি বলেন, “যদি কেউ রিগিংয়ের অভিযোগ করেন, সেক্ষত্রে একটা বুথের ফল আমরা ধরব না। তাতেও তৃণমূলই জয়ী।” সাধন পাণ্ডের গড় তাঁর স্ত্রীর হাত ধরে তৃণমূলের দখলেই থাকায় খুশি দল। আবির খেলায় মেতেছেন কর্মীরা। প্রসঙ্গত, এবার মানিকতলা আসনটি নিজেদের দখলে নিতে মরিয়া ছিল বিজেপি, গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর কল রেকর্ডিং প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সেখানে মানিকতলায় বিজেপিকে জেতানোর জন্য কুণালবাবুর কাছে সহযোগিতার আর্জি করতে শোনা যায় কল্যাণকে। বিনিময়ে পদের প্রলোভনও দেখানো হয়। যা প্রকাশ্যে আসতেই প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এত চেষ্টা সত্ত্বেও মানিকতলা অধরাই রইল বিজেপির কাছে।