• হোটেলে হঠাৎ গুলিবৃষ্টি, ইসলামপুরে নিহত TMCর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের স্বামী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • রাজ্যে ফের আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হল এক শাসকদলের নেতার। গুলিবিদ্ধ আরও এক তৃণমূল নেতা। শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুরের রামগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েতের শ্রীকৃষ্ণপুর এলাকার ঘটনা। নিহত বাপি রায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার স্বামী। গুলিবিদ্ধ সাজ্জাদ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রাজানু খাতুনের স্বামী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন ইসলমাপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা।


    পড়তে থাকুন - নিজের বুথে পেয়েছেন ৪১টা ভোট, ও আবার নেতা না কি? হিন্দু ব্লক সভাপতিকে ছাড়াই সভা করলেন হুমায়ুঁ কবির

    জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় মাদারিপুর এলাকায় একটি হোটেলে দলীয় বিষয়ে আলোচনা করছিলেন কয়েকজন তৃণমূল নেতা। তখনই সেখানে হাজির হয় জনা দশেক আততায়ী। তৃণমূল নেতাদের লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে তারা। গুলি চলতে শুরু করলেই প্রাণ বাঁচাতে যে যার মতো পালাতে থাকেন তৃণমূল নেতারা। তারই মধ্যে গুলি লাগে বাপি রায়ের গলায়। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে জানা যায় তৃণমূল নেতা সাজ্জাদের পিঠে গুলি লেগেছে। দ্রুত বাপি রায়কে উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তার পরেও তাঁকে বাঁচানোর আশায় শিলিগুড়ি নিয়ে ছোটেন পরিবারের সদস্যরা। যদিও তাতে লাভ হয়নি। এর পর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।

    ওদিকে আহত সাজ্জাদ ইসলামপুর মহকুমা হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে তিনি বিপন্মুক্ত বলে জানা গিয়েছে।


    ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, তৃণমূল নেতারা বসে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তখন সেখানে গুলি চলে। ১০ জন আততায়ী একসঙ্গে এসে গুলি চালাতে শুরু করে। তাদের কারও মুখই ঢাকা ছিল না। তার পরও তাদের কাউকেই কেউ চিনতে পারেনি। তার মানে আততায়ীরা বহিরাগত। এভাবে ভর সন্ধ্যায় পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলিচালনা অত্যন্ত উদ্বেগের। আমরা পুলিশকে বিষয়টি দেখতে অনুরোধ করব। ওখানে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে আততায়ীদের চিহ্নিত করা সম্ভব। এভাবে শাসকদলের নেতাদের ওপর গুলি চলবে এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    ইসলামপুরের পুলিশ সুপার থেন্ডুপ শেরপা জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। কে বা কারা গুলি চালাল তাদের শনাক্তকরণের চেষ্টা চলছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)