পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি আসনেই তৃণমূল এবার পরাস্ত হয়েছে। কাঁথি এবং তমলুকে জিতেছে বিজেপি। কাঁথি থেকে সাংসদ হয়েছেন শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। তমলুক থেকে জিতেছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কাঁথিতে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন উত্তম বারিক। তমলুকে প্রার্থী করা হয়েছিল তরুণ নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্যকে। ভোটের পর সমস্ত প্রার্থীকে নিয়ে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করেছিলেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গেছে , সেখানে উত্তমের লড়াইয়ের প্রশংসা করলেও দেবাংশুর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক কর্মসূচি এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে কুণাল বলেন, ”কেন পূর্ব মেদিনীপুরের দুটো সিট আমরা হারলাম? মমতাদি তো কোনও কাজে খামতি রাখেননি। অভিষেক সাংগঠনিক কাজের পৃষ্ঠপোষকতায় কোনও খামতি রাখেননি। তা হলে কেন হারলাম?”
পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টি বিধানসভা রয়েছে। লোকসভা ভোটের নিরিখে ১৫টিতেই পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। তা যে সহ্য করা যাচ্ছে না, তা-ও খোলাখুলি বলেন কুণাল। স্থানীয় নেতৃত্বকে সমালোচনায় বিদ্ধ করে কুণাল বলেন,”যদি সবাই এত বড় বড় নেতা, তা হলে কেন জিতলাম না? যে ২৯টি আসন জিতেছি, সেখানে যে যে সরকারি প্রকল্প চলে, সেগুলি পূর্ব মেদিনীপুরেই চালু রয়েছে। তা হলে কেন হারলাম? রাজ্যের ২৯টি আসনে সবুজ আবির উড়ল। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে উড়ল না।”
এদিকে কুণালের এই আত্মসমালোচনার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, ”ভোটে জিতলেও তৃণমূল বুঝতে পারছে পরিস্থিতি আগের জায়গায় নেই। যে পূর্ব মেদিনীপুর বাংলায় পরিবর্তনের যাত্রা শুরু হয়েছিল, সেখানে তৃণমূল হেরেছে। শহরাঞ্চলে হেরেছে। গ্রামের ভোটেও ফাটল ধরেছে। পরিস্থিতি বুঝেই কুণালবাবুদের এখন এ সব কথা বলতে হচ্ছে।”