নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সম্প্রতি গ্রাম থেকে শহরে এসে দলে একের পর এক যোগদান করিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এসসি এসটি ওবিসি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস। যা নিয়ে দলের ভিতরেই কোন্দল শুরু হয়েছে। বুধবার তার পাল্টা চ্যালেঞ্জ হিসেবে শহরে প্রয়াস প্রেক্ষাগৃহে তড়িঘড়ি যোগদান করানোর সিদ্ধান্ত নেন জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন যুব সভাপতি তথা জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, দলের জলপাইগুড়ি টাউন ব্লকের অনুমতি ছাড়াই সভা ও দলে যোগদান কর্মসূচি করানোয় বিতর্কের মুখে সৈকত।
এব্যাপারে যা বলার টাউন ব্লক নেতৃত্বই বলবে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ। গোটা কর্মসূচি প্রসঙ্গে বিরক্তি প্রকাশ করে তৃণমূলের টাউন ব্লক সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এদিনের সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের গোটা কর্মসূচিটিই অবৈধ। কারণ জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান টাউন ব্লকের কোনও অনুমতি নেননি। সেসঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, দলের কোনও পদে না থেকে, তিনি কি করে যোগদান কর্মসূচি করলেন? ওঁর কোনও এক্তিয়ার নেই যোগদান করানোর।
বুধবার জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রয়াস প্রেক্ষাগৃহে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা হয়। যেখানে জলপাইগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চট্টোপাধ্যায় সহ পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলর ছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন না, টাউন ব্লকের সভাপতি তথা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তপনবাবু। সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল শুধু ব্যাকরণের ভিত্তিতে চলে না, আবেগেও চলে। এদিন একুশ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। তাতে মানুষজনের উৎসাহ ছিল। একহাজারের বেশি লোক জলপাইগুড়ি পুর এলাকা থেকে কলকাতায় শহিদ দিবসে যাবে। এদিন ১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৭০টি পরিবার এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ৩৮টি পরিবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগ দেয়। যদিও এই যোগদান পর্বকে টাউন ব্লক সভাপতি নিজেই কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, এসব ওঁর আইওয়াশ। যাঁরা যোগদান করেছেন তাঁরা কোনও দল করেন না।