লেদার কমপ্লেক্সে বিনিয়োগ আরও ১০ হাজার কোটি টাকা, কর্মসংস্থান বাড়বে সাড়ে সাত লক্ষ
বর্তমান | ১৯ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বানতলা লেদার কমপ্লেক্সে আরও ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আসতে চলেছে। এতে এখানে আরও আড়াই লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। ফলে সব মিলিয়ে এখানে কর্মসংস্থানের সংখ্যা দাঁড়াবে সাড়ে ৭ লক্ষ। বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেদার কমপ্লেক্স নিয়ে বিশেষ পর্যালোচনা বৈঠক করেন। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী, আধিকারিক ছাড়াও চর্মশিল্পের প্রতিনিধিরাও বৈঠকে ছিলেন। বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যেপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানিয়েছেন, আলিপুর মিউজিয়ামের সামনে শপিং মল তৈরি করা হবে। সেখানে লেদার কমপ্লেক্সে তৈরি চর্মজাত সামগ্রী বিক্রি করা হবে। এই মলে কুটির ও হস্তশিল্পজাত সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা থাকবে।
বাসন্তী হাইওয়ের ধারে বানতলা ‘কর্মদিগন্ত’ লেদার কমপ্লেক্সে প্রায় ১১৫০ একর এলাকাজুড়ে ৫০০টি ট্যানারি ও চর্মজাত সামগ্রী প্রস্তুতকারী ইউনিট আছে। ইতিমধ্যে এখানে ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে ৫ লক্ষ মানুষের। এদিনের পর্যালোচনা বৈঠকে আরও জানা গিয়েছে, আরও ১৮৭টি ট্যানারি ও ১৩৯টি চর্মজাত সামগ্রী উৎপাদনকারী ইউনিট এখানে চালু হতে চলেছে। সেখানে আরও আড়াই লক্ষ কর্মসংস্থান হবে। এখনও পর্যন্ত কমপ্লেক্সের জমি ও পরিকাঠামো উন্নয়নে ১৯০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। রাস্তাঘাট, পানীয় জল, নিকাশি, কমন ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রভৃতি তৈরি হয়েছে। আগামী দিনে পরিকাঠামোর আরও উন্নয়ন করা হবে। আলাপন জানিয়েছেন, কর্মদিগন্তে ৪৭৫ কোটি টাকা খরচ করে একটি পানীয় জল প্রকল্প তৈরি করা হবে। এটির দৈনিক জল উৎপাদন ক্ষমতা হবে ২ কোটি ৮০ লক্ষ গ্যালন। লেদার কমপ্লেক্সের নিজস্ব চাহিদা মিটিয়ে সংলগ্ন এলাকাতেও এখান থেকে জল সরবরাহ করা যাবে।
লেদার কমপ্লেক্সে উৎপাদিত সামগ্রীর বিদেশে প্রচুর চাহিদা আছে। আগামী দিনে চাহিদা আরও বাড়বে। আলিপুর জেল মিউজিয়ামের সামনে প্রস্তাবিত শপিং মলটি রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে রাজ্য সরকার আশা করছে। আলাপন জানিয়েছেন, সরকারি সংস্থা হিডকো এই মলটি নির্মাণ করবে। মিউজিয়ামের সামনে এখন অনেকটা খালি জায়গা আছে। সেখানে এখন গাড়ি পার্কিং ছাড়া কিছু হয়নি। সেখানেই হিডকো মল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। এই মিউজিয়ামটি হিডকো তৈরি করেছে। রক্ষণাবেক্ষণ করে ওই সংস্থাই।