বাবুল হক, মালদহ: আত্মরক্ষার্থে গুলি চালিয়েছিল পুলিশ। মালদহ কাণ্ডে এমনই দাবি এসপির। এদিকে ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও এলাকাবাসীর চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। এদিকে মানিকচকে চলছে ১২ ঘণ্টার বন্ধ। সকাল থেকেই বন্ধ দোকান-পাট। থমথমে এলাকা।
বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। আর সেই বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে উত্তেজিত গ্রামবাসীদের হাতে মার খেতে হয়েছিল পুলিশকে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের (Malda) মানিকচকে। মানিকচকের চণ্ডীপুর-এনায়েতপুরের রাস্তা অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে তাঁদের বিরুদ্ধে। পালটা অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। এনিয়ে তোলপাড় পড়তেই রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয় সমালোচনা।
সেই ঘটনায় এসপি বলেন, “আইসি-সহ পুলিশকর্মীরা কাছের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। ওই বাড়িতে দু’জন মহিলা, একটি শিশু এবং ছ’জন পুরুষ ছিলেন। সেই বাড়ি লক্ষ্য করেও ইট ছোড়া হয়। বাড়ির জানলা- দরজা ভেঙে গিয়েছে। পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট ছোড়ে। তাতেও শান্ত হয়নি জনতা। তার পর কিছু লোক পেট্রল নিয়ে এসে বাড়িতে ছড়িয়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করে। পুলিশ বাড়ির লোকজনকে রক্ষার চেষ্টা করে। তখন আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়া হয়।” ইতিমধ্যেই এই গুলি চালানোর ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।