সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: এক রাতে পরপর দু’টি মন্দিরে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াল নবদ্বীপ প্রাচীন মায়াপুর ১ নং মালোপাড়ায়। শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন দেখতে পান ওই এলাকার কালী ও শীতলামাতার মন্দির এবং তাঁর পেছনের এক গৃহস্থ বাড়ির মনসা মন্দিরে চুরি হয়েছে। খবর পেয়ে নবদ্বীপ থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। পরপর দু’টি মন্দিরে চুরির কথা জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরে এসে ভিড় করেন। দু’টি ক্ষেত্রেই নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, নবদ্বীপ পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ১ নং মালোপাড়ার কালী ও শীতলামাতার মন্দির। এই মন্দিরের গ্রিলের ফাঁক দিয়ে একটি আঁকশি ঢুকিয়ে শীতলামাতার বিগ্রহের মাথার রূপোর মুকুট, গলার হার চুরি করা হয়। ওই মন্দিরের পেছনে নিমাই শীল নামে এক গৃহস্থের বাড়ির মনসা মন্দিরেও তালা ভেঙে দেবীর রূপোর মুকুট চুরি করে চোরেরা। এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় আতঙ্কিত স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয় এক গৃহবধূ সাধনা হালদার বলেন, আমরা প্রতিদিনই মাকে দর্শন করতে আসি। এলাকার একজন আমাদের শীতলা মায়ের মাথার মুকুটটা এই বছরই তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেটা চুরি হয়ে গিয়েছে। এই মন্দিরে স্থানীয় লোকজন সকাল সন্ধ্যা ভিড় করেন।
প্রাচীন মায়াপুর হালদার পাড়ার বাসিন্দা কালী শীতলা মাতার মন্দির কমিটির সভাপতি চন্দন হালদার বলেন, স্থানীয় এক ভদ্রমহিলা সকালে ঠাকুরকে প্রণাম করতে গিয়ে দেখেন শীতলা মায়ের মাথার চূড়াটা নেই। এরপর খোঁজাখুঁজি করে দেখা যায়, মন্দিরের প্রাচীরের পাশে একটা খালি মাঠে মায়ের চুল পড়ে রয়েছে। মন্দিরের গ্রিলের ফাঁক দিয়ে যে কাঠের কোঠাটা দিয়ে মুকুটটা চুরি করেছে সেটাও সেখানে পড়েছিল। বছর দুয়েক আগে এই মন্দিরের পুরোহিত, বিগ্রহের রূপোর গলার হার চুরি করে সেটা দোকানে বন্ধক দিয়েছিল। সেটা অবশ্য পরে আমরা উদ্ধার করতে পেরেছিলাম।
অন্যদিকে মনসা মন্দির বাড়ির গৃহকর্ত্রী ঝর্না শীল বলেন, আজ সকাল সাতটার সময়ে প্রতিদিন মতো মন্দিরে ধূপ দেখাতে এসেছিলাম। তারপর দেখি মন্দিরের গেটের তালা ভাঙা। মায়ের ঘরে ঢুকে দেখি মা মনসার মাথার রূপোর মুকুট নেই। তবে কপালে সোনার টিপ ছিল। ওটা নিতে পারেনি চোরেরা। ওটা নীচে পড়ে গিয়েছিল। নিজস্ব চিত্র