• বন্ধ ঢাকার মাছ আমদানি, দিনে ক্ষতি আড়াই কোটি
    এই সময় | ২১ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়, হাওড়া ও পেট্রাপোল: বাংলাদেশের অশান্তির প্রভাব পড়ল এ পারের বাঙালির পাতে। ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা। দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু। তার প্রভাব পড়েছে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারে। অন্য অনেক মাছের মতো বন্ধ ইলিশ মাছ সরবরাহ। বনগাঁর পেট্রাপোল সীমান্ত বন্ধ থাকার ফলে পদ্মার ইলিশ মাছ আদৌ কবে এ দেশে এসে পৌঁছবে তা বলতে পারছেন না কেউ।গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনের জেরে পুলিশ, র‍্যাফ এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এই পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে। হাওড়া বাজারে যেখানে প্রতিদিন ১০০ টন ট্যাংরা, ভেটকি, পাবদা, পাঙাস, পমফ্রেটের মতো বিভিন্ন ধরনের মাছ বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হতো তা গত তিন চার দিন পুরোপুরি বন্ধ।

    ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, ‘ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে টাকা পেমেন্টঙ্রা যাচ্ছে না। নতুন অর্ডারও দিতে পারছি না। আইনশৃঙ্খলার জন্য বাংলাদেশের গাড়ি এই রাজ্যে কম আসছে। ফলে আমরা সমস্যায় পড়েছি। প্রতিদিন গড়ে আড়াই কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে।’

    তাঁর কথায়, ‘প্রতি বছর বর্ষাকালে বাংলাদেশ থেকে পদ্মার ইলিশ আমদানি করা হয়। এ বারও ইলিশ আমদানির জন্যে চিঠি লেখার কাজ শুরু হলেও ইলিশ পাওয়া যাবে কিনা তা এখনও নিশ্চিত নয়।’ তাঁর আশঙ্কা, এই রকম অশান্তি চললে ও পার বাংলার ইলিশ নাও ঢুকতে পারে।

    রাজ্যে বর্ষা নামলেও সেই অর্থে এখনও বাংলায় আসেনি ইলিশ। কম ওজনের ছোট ইলিশ যেটুকু বাজারে উঠছে তাতেও আগুনের ছেঁকা। মাঝেমাঝে বৃষ্টি হলেও বঙ্গোপসাগরে জালে ধরা দেয়নি ইলিশ। বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতিতে খুব তাড়াতাড়ি পদ্মার ইলিশ আসার সম্ভবনাও দেখছেন না মাছ ব্যবসায়ীরা।

    বারাসতের মাছ ব্যবসায়ী যতন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘পদ্মার ইলিশ কবে এ দেশে আসবে, তা জানা নেই। বাজারে অনেকেই পদ্মার ইলিশের খোঁজ করছেন। কিন্তু সাপ্লাই দিতে পারছি না।’ বনগাঁরই মাছ বিক্রেতা সমীর মণ্ডল বলেন, ‘বর্ষার মরশুমে বা পুজোয় বাংলাদেশের ইলিশ না ঢুকলে ব্যবসা খারাপ যাবে।’

    পেট্রাপোল স্থলবন্দরের শুল্ক দপ্তরের ক্লিয়ারিং এজেন্ট সংস্থার সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ইলিশ কবে আসবে আমাদের জানা নেই। আপাতত সেই লক্ষণও নেই। ওই দেশের যা পরিস্থিতি তা খুবই চিন্তার।’ আপাতত এ রাজ্যের ব্যবসায়ীরা তাকিয়ে আছেন কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তার পরই ফের শুরু হতে পারে ব্যবসা।
  • Link to this news (এই সময়)