• বাংলাদেশ থেকে ফেরা ভারতীয় পড়ুয়াদের যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
    এই সময় | ২২ জুলাই ২০২৪
  • ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বাংলাদেশের কোনও অসহায় মানুষ দরজায় কড়া নাড়লে আশ্রয় দেবে এপার বাংলা। পাশাপাশি বাংলাদেশের খবর রাখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।এবার বাংলাদেশ থেকে আগত পড়ুয়া এবং অন্যান্যদের সাহায্যের জন্য কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য প্রশাসন, সেই প্রসঙ্গে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক্স হ্যান্ডলে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, 'বাংলাদেশ থেকে শত শত পড়ুয়া এবং অন্যান্যরা পশ্চিমবঙ্গে বা ভারতে ফিরছেন। তাঁদের সাহায্যের জন্য রাজ্য প্রশাসনকে যাবতীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন ৩০০ পড়ুয়া হিলি সীমান্তে পৌঁছেছে এবং প্রত্যেকেই নিরাপদে তাঁদের গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়েছেন: তাঁদের মধ্যে ৩৫ জনের সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। আমরা তাঁদের সহায়তা করেছি।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, 'বিপদের মুখে একতাই শক্তি'।

    উল্লেখ্য, রবিবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলাদেশ অন্য দেশ। তাই বাংলাদেশ নিয়ে কোনও কথা বলতে পারি না। এই নিয়ে যা বলার ভারত সরকার বলবে। কিন্তু, কোনও অসহায় মানুষ যদি দরজায় কড়া নাড়ে সেক্ষেত্রে আমরা আশ্রয় দেব।'

    পাশাপাশি রক্তপাত দুঃখজনক, বাংলাদেশের সার্বিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে মন্তব্য মমতার। বাংলাদেশের খবর রাখা হচ্ছে বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে রীতিমতো উত্তাল হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই দেশে জারি রয়েছে কার্ফুও। প্রায় গিয়েছে ১০০ জনের বেশি মানুষের। বন্ধ রয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও। এই অবস্থায় বাংলাদেশে পাঠরত বহু ভারতীয় তরুণ-তরুণী ফিরে আসছেন।

    রবিবার বাংলাদেশ হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশ খারিজ করেছে সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট। সংরক্ষণ পুরোপুরি না তুললেও কমানো হয়েছে। এবার থেকে বাংলাদেশে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে এবং ৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজনদের জন্য এবং অন্যান্যদের জন্য আরও ২ শতাংশ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে। এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী। পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার কথা বলেছে সেই দেশের সুপ্রিম কোর্ট।
  • Link to this news (এই সময়)