ফের বর্ষসেরা রেফারির সম্মান উঠল কল্যাণীর উজ্জ্বলের হাতে
বর্তমান | ২২ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, করিমপুর: অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের বিচারে ২০২৩-২৪ সালের বর্ষসেরা রেফারি হলেন কল্যাণীর উজ্জ্বল হালদার। এর আগে দুজন বাঙালি সহকারি রেফারি বর্ষসেরা পুরস্কার পেলেও উজ্জ্বল হালদার এই বাংলার প্রথম, যিনি দ্বিতীয় বার বর্ষসেরা সহকারি রেফারির পুরস্কার পেলেন। এর আগে ২০২২ সালে তিনি প্রথম বর্ষসেরার স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। শুক্রবার দিল্লির অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের ভবনে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী মানসুখ মান্ডবিয়া, অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কল্যাণ চৌবে সহ জাতীয় ক্রীড়া জগতের অনেকেই। তার এই সাফল্যে খুশি নদীয়া জেলা তথা বাংলার মানুষ। ছোটবেলা থেকে উজ্জ্বলের স্বপ্ন ছিল বড় ফুটবল হওয়া। সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও সহকারে রেফারি হিসেবে আজ তিনি সফল। কল্যাণীর বিজয়নগরের ৩২ বছরের উজ্জ্বল হালদার এবছর বর্ষসেরা সহকারি রেফারির পুরস্কার পেলেন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্রীড়াপ্রেমী বাবার হাত ধরে উজ্জ্বল মাত্র পাঁচ বছর বয়স থেকে মাঠে যেতে শুরু করেন। ফুটবল খেলার প্রতি উজ্জ্বলের ছিল টান। বাবার মৃত্যুর পর দশ বছর বয়সে মাঠে অনুশীলনে যাওয়ার সময় পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তারপর দীর্ঘদিন তাঁকে মাঠের বাইরে থাকতে হয় এবং তারপরে কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষীর পরামর্শ ও নিজের ইচ্ছে শক্তি জোরে ফের তিনি মাঠে ফিরে আসেন। তবে খেলোয়াড় হিসেবে নয়, রেফারি হিসেবে। জানা গিয়েছে, কল্যাণীর উজ্জ্বল ২০১২ সালে রেফারিংয়ের দুনিয়ায় পা রাখেন। ২০১৫ সালে তিনি জাতীয় রেফারি হয়েছেন এবং তারপর ২০১৮-১৯ সালে আই লিগ, ২০১৯-২০ সালে আইএসএল, ২০২১-২২ সালে আইএসএল ফাইনাল ও ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলানোর সুযোগ পান। ২০২৪ সালে ফিফার সহকারি রেফারি হন। উজ্জ্বল বলেন, আমার এই সাফল্যের পিছনে বহু মানুষের অবদান রয়েছে। আমার স্কুল কল্যাণী শিক্ষায়তন, খেলাধূলার বিভিন্ন সামগ্রী থেকে আর্থিক সহযোগিতা করেছে কল্যাণী পুরসভা ফুটবল অ্যাকাডেমি এবং বিশেষ করে পুরসভার চেয়ারম্যান নীলিমেষ রায় চৌধুরী সবরকম ভাবে আমার পাশে ছিলেন। এছাড়াও খেলার জগতের অনেকে আমাকে সাহায্য করেছেন। হাজারো প্রতিকুলতার মাঝে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। কঠোর পরিশ্রম, নিয়মশৃঙ্খলা, শেখার আগ্ৰহ আর কিছু মানুষের পূর্ণ সহযোগিতা ও ফুটবলের প্রতি অগাধ ভালোবাসায় আজ আমি এই পুরস্কার লাভ করেছি। এটা আমার কাছে অত্যন্ত তৃপ্তির এবং গর্বের। আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই এআইএফএফ, এআইএফএফ রেফারি বিভাগ ও আইএফএ, সিআরএর সবাইকে।