সংবাদদাতা, চাঁচল: বৃষ্টি হলেই কাঁচা রাস্তায় জমছে কাদা। ফলে রাস্তাটি চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিবেশীদের বাড়ি ডিঙিয়ে, কখনও আমবাগান দিয়ে চলতে হয় এলাকাবাসীকে। মালদহের চাঁচল ২ ব্লকের চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের মকদমপুরে দুই কিমি রাস্তা পাকা করার দাবি জোরাল হয়েছে। পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে লিখিত দাবি জানানো হলেও ভ্রূক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এলাকাটি বিরোধী দলের দখলে থাকায় উন্নয়ন হয় না বলে অভিযোগ করছেন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্যা। দ্রুত রাস্তা পাকা না করা হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাসিন্দারা। চাঁচল ২ এর বিডিও শান্তনু চক্রবর্তী বলেন, রাস্তাটি পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মকদমপুরের মহানন্দা নদী ঘাট থেকে বাঁধরোড সংযোগ হয়ে হোগলাসী ও হঠাৎপাড়া পর্যন্ত দুই কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। বর্ষায় অবস্থা তথৈবচ। কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না বলে দাবি বাসিন্দাদের। এমনকী কেউ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্স আনতে চড়া ভাড়া গুনতে হয় বাসিন্দাদের। মকদমপুর, হঠাৎপাড়া, হোগলাসী, গোয়ালপাড়া সহ পাঁচটি গ্রামের কয়েকশো পরিবারের চলাচলের ভরসা ওই রাস্তাটি। স্থানীয় বাসিন্দা মলয় দাস, এমাদুর রহমানের অভিযোগ, অন্যান্য এলাকায় কাজ ঠিকই হচ্ছে। কিন্তু এই রাস্তা পাকা হচ্ছে না।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা পঞ্চমী দাস বলেন, গত বছর পাকা রাস্তার দাবি জানিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক দপ্তরে আবেদন জমা করেছিলাম। কিন্তু আজও টনক নড়ল না কারও। আমরা বিরোধী (সিপিএম) হওয়ায় এলাকায় কাজ দিচ্ছে না তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। চন্দ্রপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছবি সরকারের দাবি, পঞ্চায়েতের কাজ প্রতিটি এলাকায় হচ্ছে। সব সদস্যকে নিয়েই কাজ করা হচ্ছে। ওই রাস্তাটি বড় হওয়ায় পঞ্চায়েতের পক্ষে কাজ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।