রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নিম্নচাপের জেরে ফুঁসছে সমুদ্র। দিঘা, শংকরপুরে পর্যটকদের সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে সতর্কতা জারি হয়েছে। তা সত্ত্বেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রস্নানে নেমে বিপত্তি। মৃত্যু হল এক পর্যটকের।
সোমবার শংকরপুরে তিনজন স্নান করতে নেমেছিলেন। তাঁরা সকলেই একে অপরের বন্ধু। উত্তাল সমুদ্রে তলিয়ে যান তিনজনই। তাঁদের মধ্যে দুজনকে নুলিয়ারা উদ্ধার করেন। বাকি একজনের দেহ তলিয়ে যায়। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশি চালিয়ে একজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। ওই মৃত যুবকের নাম, পরিচয় অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, অসম ও রাজস্থানে ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। বিহার থেকে উত্তরবঙ্গ ঘূর্ণাবর্ত জোন এবং নতুন করে অক্ষরেখা তৈরি হবে দক্ষিণবঙ্গে। যদিও বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ ওড়িশা হয়ে ছত্তিশগড়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে। সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা ওড়িশাতে। মৌসুমী অক্ষরেখা আজমির থেকে গুনা সাগর মান্ডালা হয়ে ছত্তিশগড়, ওড়িশার উপর দিয়ে চাঁদবালির কাছাকাছি সমুদ্রে প্রবেশ করেছে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে। তার জেরে উত্তাল সমুদ্র। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার পরেও স্নান করতে নেমে বিপদ ঘটেছে বলেই অনুমান প্রত্যক্ষদর্শীদের।