নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: জয়দেবে অজয় নদের উপর নতুন সেতুর উদ্বোধন সেপ্টেম্বরেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই এই সেতুর সূচনা হতে চলেছে। সেতুর সংযোগকারী অ্যাপ্রোচ রোডের জমি-জট কাটতেই আশায় বুক বাঁধছেন পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের মানুষজন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির দাবি, অ্যাপ্রোচ রোডের উপর থাকা একটি বাড়ির মালিক দীর্ঘদিন ধরে এনিয়ে টালবাহানা করছিলেন। প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিতেই তিনি বাড়ি বিক্রি করে দিতে রাজি হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বাকি প্রায় সব কাজই হয়ে গিয়েছে। এখন রাস্তার মাঝে থাকা সেই বাড়ি ভেঙে দ্রুত অ্যাপ্রোচ রোড তৈরির কাজ শুরু হবে। আর সেটা শেষ হলেই খুলে যাবে দুই জেলার যোগাযোগের নতুন মাধ্যম। শুধু তাই নয়, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের সমন্বয়েরও অন্যতম বড় ভরসা হতে চলেছে সেতুটি। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবাণী ভট্টাচার্য বলেন, এই সেতু ও ব্রিজের কাজ শেষ করার ডেটলাইন ছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস। এক বাড়ির মালিক জমি দিতে বেঁকে বসায় জটিলতা তৈরি হয়েছিল। বাড়িটির বাকি দু’টি অংশের মালিক আমাদের জমি বিক্রি করে দিয়েছিলেন। তাঁদের অনুমতিক্রমে সেই বাড়ির এক অংশের প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিতেই অন্যজনও বাড়ি বিক্রি করতে রাজি হয়ে গিয়েছেন। আশা করছি, সময়মতো সেতুর উদ্বোধন হয়ে যাবে। দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে মলানদিঘি হয়ে শিবপুর পর্যন্ত ঝাঁ চকচকে রাস্তা। জঙ্গলের বুক এফোঁড় ওফোঁড় করে চলে যাওয়া রাস্তার উপর রয়েছে শ্যামারূপা মন্দির ও দেউল। নদীর অপরপ্রান্তেই কবি জয়দেবের সাধনাক্ষেত্র। প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। এতদিন এই রাস্তার শেষে একটি অস্থায়ী সেতু পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে বীরভূমের যোগসূত্র স্থাপন করত। বর্ষা এলেই সেটি ভেসে যেত। দীর্ঘদিন ধরে সেখানে একটি পাকা সেতুর দাবি ছিল। অবশেষে রাজ্য সরকার একশো কোটি টাকার বেশি খরচ করে সেখানে ব্রিজ গড়ে দেয়। নদীর উপর ঝাঁ চকচকে ব্রিজ প্রস্তুত কিন্তু অ্যাপ্রোচ রাস্তার জমি পেতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রশাসনকে। অবশেষে সেই জটিলতাও কাটল বলে প্রশাসনের দাবি।