• শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বিরাট জয় তৃণমূলের, প্রার্থী দিতেই ব্যর্থ সমবায় নির্বাচনে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৪ জুলাই ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে দু’মাস হল। তার মধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে বড় জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। এখানের সমবায় সমিতির নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আর এই জয়ের কারণ প্রার্থীই দিতে পারল না বিরোধী দলগুলি। সুতরাং ময়দান ছিল ফাঁকা। আর সেই ফাঁকা মাঠেই খেলল তৃণমূল কংগ্রেস। আর সমবায় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। যদিও বিরোধীদের দাবি কোনও বিধিই জারি করা হয়নি। গতকাল এই ফলাফল প্রকাশ্যে আসে। তাতেই চাপে পড়ে যায় বিরোধী দলগুলি।

    মঙ্গলবার দিন কবিগুরু হোলসেল কনজিউমার্স কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রতিনিধিদের নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন ছিল। আর এই সমবায়ের মোট আসন সংখ্যা ৮টি। সেই ৮টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেয়। কিন্তু দেখা গেল সময় শেষ হলেও আর কোনও দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়নি। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের তিনটি মহকুমা যথা তমলুক, হলদিয়া এবং ঘাটাল মিলিয়ে কবিগুরু হোলসেল কনজিউমার্স কোঅপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের প্রতিনিধিদের নির্বাচন ছিল। বিরোধীদের আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের ৮ জন প্রার্থী—বিষ্ণুপদ সামন্ত, মৃণালকান্তি দাস, চন্দন পণ্ডা, অভিরাম জানা, অশ্বিনী জানা, দেবশঙ্কর দাস, সুজিত রায় ও মহাদেব বাগ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান।

    এদিকে এই সমবায়ে ২০১৭ সালেও নির্বাচন হয়েছিল। ২০২২ সালে তার মেয়াদ শেষ হয়। তারপর নতুন করে আর নির্বাচন হয়নি। সমবায় পরিচালনার জন্য তাই একজন প্রশাসক নিযুক্ত ছিলেন। ২০২৪ সালে আবার নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়। মঙ্গলবার এই সমবায়ের নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারিত ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তমলুক শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি চঞ্চল খাঁড়া বলেন, ‘‌এই জয় মা–মাটি–মানুষের জয়। এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়। আগামী দিনে এই সমবায়ের কাজকর্ম আরও সুন্দরভাবে করার দিকে আমাদের নজর থাকবে।’‌

    অন্যদিকে সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি আসন তমলুক এবং কাঁথি জেতে বিজেপি। কিন্তু তারপর থেকে বিজেপি সাংসদদের আর টিকি দেখা যায়নি। অথচ লোকসভায় বাদল অধিবেশন চলাকালীন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা ফাঁক পেলে নিজেদের কেন্দ্রে ঘুরে যাচ্ছেন। আর মানুষের সঙ্গে কথা বলে অভাব–অভিযোগ শুনছেন। এটাই প্রভাব ফেলেছে। আর আগেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নানা সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি মহিষাদল ব্লকের রমণী মোহন মাইতি গ্রাম পঞ্চায়েতের টাঠারিবাড় কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে জয় পায় তৃণমূল কংগ্রেস। কোলাঘাটের ঝোকুড়কুল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনেও জ‌য়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)